শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রেমের সম্পর্ক না মেনে নেওয়ায় আত্মঘাতী ছাত্রী হরিশচন্দ্রপুরে

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৬:০৬ এএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার

মালদা: 

প্রেমের সম্পর্ক না মেনে নেওয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী। ঘটনার পিছনে মালদা হরিশ্চন্দ্রপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সদস্যের পরিবারের বিরুদ্ধেই আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছেন মৃত ছাত্রীর পরিবার। এই ঘটনাকে ঘিরে সোমবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের মানিকবাড়ি এলাকায় । পাশাপাশি পুরো ঘটনাটি নিয়ে মৃত ছাত্রীর পরিবার প্রেমিক ইনজামাম-উল-হক সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। পাশাপাশি মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ছাত্রীর নাম,  জিন্নাতারা পারভীন (১৮) । সে হরিশ্চন্দ্রপুর এর চন্ডিপুর হাই স্কুলের দশম শ্রেণির পাঠরত ছিল এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে ছাত্রী। সোমবার সকালে শোবার ঘরেই ওই ছাত্রী গলায় ওড়না জড়িয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন ।  বিষয়টি জানতে পেরে ওই ছাত্রীর পরিবার দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে। এরপর নিকটবর্তী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়ে দেয়।পুলিশকে অভিযোগ মৃত ছাত্রীর পরিবার জানিয়েছে, সোমবার সকালে পরিবারের সকলে  ঘরের দরজা লাগানো দেখে তার পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করে দরজা না খুললে দরজা ভেঙে তার দেহ ঝুলে থাকতে দেখে। পরে পুলিশে খবর দিলে সকাল ৮ টার দিকে দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত ছাত্রীর মা সুবেদা বিবির অভিযোগ,  প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার পথে তার মেয়েকে ইভটিজিং করত তৃণমূল নেতার ছেলে ইনজামাম-উল-হক। তারপরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে এক বছর ধরে প্রেম চলতে থাকে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবৈধভাবে মেলামেশা করতো । রবিবার ছেলের সঙ্গে তার মেয়ের প্রচন্ড ঝগড়া হয়। মেয়েকে হুমকিও দেওয়া হয় বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পাই। বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছে তার মেয়ে বলে অভিযোগ।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গত এক বছর ধরে তার মেয়ের সঙ্গে তৃণমূল নেতার ছেলের প্ররোচনাতেই মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। 
অন্যদিকে অভিযুক্ত ইনজামামুল হক এর পরিবারের সাফ কথা, এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে নি। যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।