শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার ও নিকাশি নালা তৈরির দাবিতে সরব এলাকাবাসী

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৬:৩৫ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার

অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার ও নিকাশি নালা তৈরির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসীরা। যদিও তাঁদের অভিযোগ, একাধিকবার গ্রাম পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানিয়েও সমস্যার সুরাহা হয়নি।গ্রীষ্ম হোক কিংবা বর্ষা, ঋতু বদলায় কিন্তু রাস্তার হাল ফেরে না। চাঁচল ১ নং ব্লকের কলিগ্রাম জিপির ইমামবাড়ার রাস্তার হাল নিয়ে দুর্ভোগের শেষ নেই স্থানীয়দের মধ্যে। একে তো এবড়ো-খেবড়ো রাস্তা, তার উপর নিকাশি নালা না থাকায় বছরের প্রতিটি দিনই জল-কাদায় প্যাচপ্যাচ করে রাস্তা। যে সে জল নয়, আশপাশের বাড়ির নর্দমার নোংরা জল। সেইসঙ্গে রাস্তার ধারে থাকা টিউবওয়েলের জল।  ইমামবাড়ার ৩০০ মিটার ম ওই রাস্তা ঘিরে দুর্ভোগ যেন মেটারই নয়। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার ও নিকাশি নালা তৈরির দাবি জানিয়ে সরব হয়েছেন এলাকাবাসীরা। যদিও তাঁদের অভিযোগ, একাধিকবার পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানিয়েও সমস্যার সুরাহা হয়নি। উল্লেখ্য, বাম আমলে নিকাশি নালার পরিকাঠামোর কথা না ভেবেই তৈরি করা হয়েছিল ইট সোলিং এর রাস্তা । ফলে এলাকাবাসীর বাড়ির দূষিত নালার জল রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে দীর্ঘদিন ধরে, এমনই দাবি স্থানীয়দের একাংশের।উল্লেখ্য, প্রায় ১০০ পরিবারের বসবাস ইমামবাড়ীতে। মাঝখানে পুকুরের চারপাশে ঘনবসতি। রাস্তা এবড়ো খেবড়ো চলাচল তাদের। তাদের অভিযোগ, কেউ অসুস্থ হয়ে পরলে অ্যাম্বুলেন্স তো ঢোকেই না তার সাথে একদম নারাজ টোটো ই-রিক্সা।

রোগীকে কোলে করে ২০০ মিটার নিয়ে যেতে হয়। এছাড়াও বর্ষাকালে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ, মাথায় জুতো নিয়ে চলতে হয় গ্রামবাসীদের। দুই চক্র যানগুলি অন্যের বাড়িতে রেখে আসতে হয় বলে অভিযোগ। কলিগ্রাম এলাকায় সর্বত্র ঢালাই হলেও হয়নি তাদের ইমামবাড়া। অনত্র দেখে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাসিন্দা নাসিমুদ্দিন।এ প্রসঙ্গে কলিগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেজাউল খাঁন বলেন ‘ওই রাস্তাটির পরিস্থিতি বেহাল এবং নিকাশি নালা নেই আমিও শিকার করি। আমরা সমস্যা টেন্ডার পাশ করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছি । আশা করছি আগামী তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে। শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েত প্রধানের আশ্বাস মেনে সমস্যার সুরাহা হয় কিনা সেদিকেই তাকিয়ে এলাকাবাসী।