পণের টাকার দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যা করার অভিযোগ স্বামীর
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১২:২২ এএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার
পণের টাকা দাবিমতো না পাওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যা করার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা হরিশ্চন্দ্রপুর থানা সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাপুর গ্রামে। মৃত অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর নাম হাসিনা খাতুন (২২) বছর।
মৃতার বাবা তাজামুল সাই জানালেন গত তিন বছর আগে হরিশ্চন্দ্রপুরের সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ কলিমুদ্দিনের সাথে সামাজিক মতে বিয়ে হয়েছিল। সেই সময় পনের টাকা বাবদ ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে মেয়েকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দেওয়া হতে থাকে। টাকা না আনলে চলে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন। এছাড়াও তাকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে মারার সময় প্রচেষ্টা করা হয়। হাসিনা খাতুনের বাড়ির লোক অভিযোগ করেন তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন পেটে তিন মাসের বাচ্চা এসেছিল। সেই বাচ্চাটি কেও পেটের মধ্যে মেরে দেওয়া হয়।গতকাল রাতে তার আরেক জামাই গাফফার আলী তাকে ফোন করে জানায় আমার মেয়ে হাসিনা গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁসি নিয়েছে। আমি এলাকা থেকে লোকজন নিয়ে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে তার শোবার ঘরের খাটে মৃত অবস্থায় শুয়ে আছে ।তার গলায় দড়ি লাগানোর চিহ্ন রয়েছে। নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। তিনি নিশ্চিত তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তার জামাই শেখ কলিম উদ্দিন ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে। হাসিনা খাতুনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন এখন পর্যন্ত পলাতক।