উচ্চশিক্ষা দপ্তরের ২০১৯ বর্ষশেষ পর্যালোচনা
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৭:৪৫ এএম, ১০ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার
প্রধানমন্ত্রীর ‘সংস্কারমূলক ভারত’ চিন্তাভাবনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ‘সকলের জন্য শিক্ষা, গুণগত শিক্ষা’
লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যবস্হা গ্রহণ করেছে। ডঃ কে কস্তুরী রঙ্গন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’এর কাছে ২০১৯ সালে জাতীয় শিক্ষা নীতির খসড়া কমিটি জমা দিয়েছে। দেশের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা, উদ্ভাবন এবং গবেষণার মানের দিকটি বিবেচনা করে ভারতকে শিক্ষা জগতে প্রথম সারিতে নিয়ে আসার লক্ষ্যে কেন্দ্র নতুন শিক্ষানীতি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।
একইসঙ্গে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্প ও শিক্ষাক্ষেত্রে যে মানব সম্পদের ঘাটতি রয়েছে তা দূর করা সম্ভব হবে। মন্ত্রক, শিশুদের মধ্যে সম্ভাবনাকে চিহ্নিত করে তাদের দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী উদ্ভাবনী শিক্ষণ কর্মসূচি- ধ্রুব সূচনা করেছে। এছাড়াও দেশের গবেষণা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে উৎসাহদানের লক্ষ্যে শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য ‘ইক্যুইপ’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এছাড়াও ২০১৯ সালে উচ্চশিক্ষা দপ্তর ‘স্বয়ম ২.০’, ‘দিক্ষারম্ভ’ এবং ‘পরামর্শ’ প্রকল্পের সূচনা করেছে। বর্তমানে শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য ও সমন্বিত কর্মসূচির উদ্দেশ্যে ‘ইক্যুইপ’ কর্মসূচিটি চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং মানব সম্পদ
2
উন্নয়ন মন্ত্রক ২০১৯-২৪ এর দেশের উচ্চশিক্ষাতে পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশলগত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করবে।
আইআইএসসি ব্যাঙ্গালোর, আইআইটি বম্বে, আইআইটি ম্যাড্রাস, আইআইটি খড়গপুর, হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্না বিশ্ববিদ্যালয়, এই ১০টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উৎকর্ষ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ বছর প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ১ হাজার কোটি টাকার আর্থিক অনুদান পাবে। এগুলির পাশাপাশি ১০টি প্রতিষ্ঠানকেও উৎকর্ষ প্রতিষ্ঠানের তকমা দেওয়া হল। এগুলি হল- বিআইটিএস পিলানি, মাহে কর্ণাটকের জিও ইন্সটিটিউট, তামিলনাড়ুর অমৃতা বিশ্ববিদ্যাপীঠম ও ভেলোর ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি, নতুন দিল্লীর জামিয়া হামদর্দ, ওড়িশা কলিঙ্গ ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি, হরিয়ানার ওপি জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতী ইন্সটিটিউট, মোহালির সত্য ভারতী ফাউন্ডেশন, এবং উত্তরপ্রদেশের শিব নাদর বিশ্ববিদ্যালয়।
বিজ্ঞানে উন্নত গবেষণার লক্ষ্যে ২০১৯এর ফেব্রুয়ারীতে ‘স্টারস’ প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। ব্যাঙ্গালোরের আইআইএসসি এই পুরো প্রকল্পের দায়িত্ব পেয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য আড়াইশো কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫০ কোটি টাকা ১৪১টি প্রকল্পের জন্য অনুমোদন করা হয়েছে। স্বাস্হ্য মন্ত্রকের অধীনে বিভিন্ন উচ্চশিক্ষার পাঠ্যক্রমের জন্য অর্থ সাহায্যের লক্ষ্যে একটি এজেন্সি গঠন করা হয়েছে। ২০১৯এর ১১ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৭,০০১ কোটি ২১ লক্ষ টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। আইআইএসইআর-এর দুটি স্হায়ী ক্যাম্পাস তিরুপতি এবং বেরহামপুরে তৈরি করা হবে। এরজন্য এই এজেন্সি থেকে অর্থ পাওয়া যাবে।
রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান-রুসা-র আওতায় রাজ্য সরকারগুলিকে মোট ৫৮৭১ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে বরাদ্দের পরিমাণ ৮০১ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা। সমাজ বিজ্ঞানের গবেষণার জন্য ‘ইমপ্রেস’ কর্মসূচি গ্রহণ করা
হয়েছে। নতুন দিল্লীর দ্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ সোস্যাল রিসার্চকে এই কর্মসূচি রূপায়ণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ৩১শে মার্চের মধ্যে ৪১৪ কোটি টাকা এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
শিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতির লক্ষ্যে ৩৯৪টি প্রস্তাবের জন্য ২৫১ কোটি ৯ লক্ষ টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। আইআইটি খড়গপুরকে এ বাবদ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৮০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। ‘স্বয়ম ২.০’ প্রকল্পের আওতায় প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলি
থেকে অনলাইনে ডিগ্রী পাওয়ার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ২৮০০র বেশি পাঠ্যক্রমে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করতে পারবেন। ১২৫টি শহরে ১ কোটি ২৩ লক্ষ ছাত্রছাত্রী এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করেছেন। ৫ লক্ষের বেশি ছাত্রছাত্রী ইতিমধ্যেই তাঁদের শংসাপত্রও
পেয়েছেন।
‘স্বয়ম প্রভা’ নামে ৩২টি ডিটিএইচ শিক্ষামূলক টেলিভিশন চ্যানেল
চালু করা হয়েছে। মাদ্রাজ আইআইটি এই প্রকল্পের মুখ্য সমন্বায়ক।
ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষানবিশের উদ্দেশ্যে ‘শ্রেয়াস’ কর্মসূচি গত এপ্রিল
মাসে চালু হয়েছে। বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের ভারতের বিভিন্ন পাঠ্যক্রমে
অংশগ্রহণের লক্ষ্যে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’
পোর্টাল চালু করেছে। ইতোমধ্যেই ১৯০টি দেশের ৬৯,০১২ জন তাঁদের নাম
নথিভুক্ত করেছেন। এই কর্মসূচিতে ২০২০র আইএনডি-স্যাট পরীক্ষা শুরু
করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।
ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি দেওয়ার লক্ষ্যে মন্ত্রক বিভিন্ন কর্মসূচিতে
যথেষ্ঠ অর্থ অনুমোদন করেছে। সেন্ট্রাল সেক্টার স্কিম অফ স্কলারশিপ
ফর কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্সের আওতায় ৩৭,২৯৩টি বৃত্তির
জন্য ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৪৪ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা বন্টন করা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ বৃত্তি প্রকল্পের আওতায়
১০,৭২০টি বৃত্তি বরাদ্দ করা হয়েছে। সেন্ট্রাল সেক্টার ইন্টারেস্ট
সাবসিডির আওতায় ৯৩,৫৪৯৭টি বৃত্তিতে সুদের ওপর ভর্তুকি দেওয়ার
প্রস্তাব এসেছে।
মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এবং বিদেশ মন্ত্রক গত ১৬ই
সেপ্টেম্বর আশিয়ান ফেলোশিপের ঘোষণা করেছে। আইআইটিগুলিতে
ইন্টিগ্রেটেড এমএসসি কোর্সের ১ হাজার জন ছাত্রছাত্রী এই ফেলোশিপ
পাবে।
4
আইআইটি দিল্লীতে ২০২৫ সালের মধ্যে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের
সমতুল অর্থের তহবিল গড়ার লক্ষ্যে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তণীরা
প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে। সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অফ
অন্ধ্রপ্রদেশ এবং সেন্ট্রাল ট্রাইবাল ইউনিভার্সিটি অফ অন্ধ্রপ্রদেশ
গত আগস্ট মাসে স্হাপন করা হয়েছে।
নতুন দিল্লীর রাষ্ট্রীয় সংস্কৃত সংস্হান, শ্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী
রাষ্ট্রীয় সংস্কৃত বিদ্যাপীঠ এবং তিরুপতির রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি বিদ্যাপীঠ
গড়ে তুলতে সংসদের উচ্চকক্ষে একটি প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে।
উত্তরাখন্ডে এনআইটি-র স্হায়ী ক্যাম্পাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে মন্ত্রক
ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন করেছে।
বিভিন্ন শূন্যপদে লোক নিয়োগের জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।
আইআইটিগুলির জন্য বাজেটে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৬১,৪৩.০২ কোটি টাকা
বরাদ্দ করা হয়েছে।
মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সহযোগিতায় এমজিআইইপি গত
২৩শে আগস্ট নতুন দিল্লীর বিজ্ঞান ভবনে দয়া শীর্ষক বিশ্ব যুব
সম্মেলনের আয়োজন করে। শ্রীনগর, মুম্বাই, লক্ষ্মৌ এবং হায়দ্রাবাদকে
বেছে নেওয়া হয়েছে ইউনেস্কোর ক্রিয়েটিভ সিটি নেটওয়ার্কে।
সংস্কৃতি মন্ত্রকের সঙ্গে আইএনসিসিইউ-র সমন্বয়ের ক্ষেত্রে
ইউনেস্কোর মনিটারিং মিশন ভারতের পাহাড়ী রেলপথ যেগুলি বিশ্বের
ঐতিহ্যশালী তালিকায় আছে সেগুলি ঘুরে দেখেন। ইউনেস্কোর সঙ্গে
সহযোগিতার জন্য ভারতীয় জাতীয় কমিশন পুনর্গঠনের জন্য মনোনয়ন চেয়ে
পাঠিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রক। ইউনেস্কোর ৪০তম সাধারণ সম্মেলনের
মনোনয়নও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর
ডকুমেন্টারি হেরিটেজ আইসিডিএইচ নতুন করে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রে
ইউনেস্কোর দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। এছাড়া ইউনেস্কো
সংক্রান্ত বিভিন্ন চিঠিপত্রের আদান-প্রদানও করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রক।
যোগাযোগ মন্ত্রকের সঙ্গে আইএনসিসিইউ সমন্বয়ের ক্ষেত্রে
ইউনেস্কোর ৪০ তম সাধারণ সম্মেলনের মনোনয়ন চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
পরিবেশ এবং বন মন্ত্রকের আইএনসিসিইউ সমন্বয়ের ক্ষেত্রে
ইউনেস্কোর বিশ্ব বায়োস্ফেয়ার রিজার্ভ নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্তির
জন্য পান্না বায়োস্ফেয়ার রিজার্ভের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
5
আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভারত এবং ১৪টি ইউরোপীয়
দেশের মধ্যে শিক্ষক এবং ছাত্র বিনিময় কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গুরুনানক
দেবজীর ৫৫০তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে ব্রিটেনে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে
একটি চেয়ার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন
ইউজিসি-র সঙ্গে সমন্বয় রেখে। ২০১৯-২০তে ভারতে বিভিন্ন পাঠ্যক্রম
ভর্তি হওয়া বিদেশি ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩ হাজার ১৬৪। ইউনেস্কোর
সাধারণ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর
দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়।
মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এবং কারিগরি শিক্ষাদানের
সংস্হাগুলির মধ্যে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ন্যাশনাল এডুকেশন
অ্যালায়েন্স অফ টেকনোলজিস এনইএটি কর্মসূচি শুরুর প্রস্তাব চূড়ান্ত
হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে শিক্ষাদানই এর উদ্দেশ্য।
প্রশিক্ষকদের জন্য বার্ষিক কর্মশিবিরের অঙ্গ হিসেবে ২০১৯এর
মার্চের মধ্যে প্রথম দফার প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হয়। পরীক্ষাও নেওয়া হয়।
চাকুরি ক্ষেত্রে উন্নতিতে সহায়ক হবে সমমানের এই পাঠ্যক্রম। এই
স্বীকৃতি দিয়েছে ইউজিসি। উপদেষ্টা পরিষদ এবং কর্মশিবির পরিচালনা
জন্য অতিরিক্ত ৫ লক্ষ টাকার সংস্হান রাখা হয়েছে। ১৪ লক্ষ ৭০ হাজার
টাকা বাজেটে ধরা হয়েছে স্বয়মের মাধ্যমে এই রিফ্রেসার কোর্সের জন্য।
এটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে মন্ত্রক যেখানে যেমন প্রয়োজন তথ্য
ভান্ডারের ব্যবহার করেছে। ৪৮ ধরনের পাঠ্যক্রমে নথিভুক্ত হয় ১ লক্ষ
৪৬ হাজার ২১৪ জন।
গুণমান বৃদ্ধির জন্য গত বছর ১৮ই জুলাই একটি কর্মসূচি শুরু হয়।
৮টি আঞ্চলিক কর্মশিবিরে অংশ নেয় ১ হাজার ৬৫০ জন প্রার্থী। ১৬টি
বিষয়ে নতুন পাঠ্যক্রমের ভিত্তি কতটা কি শেখা হয়েছে তার ওপর। ইউজিসি
ওয়েবসাইটে এটা দেওয়া আছে যাতে বিশ্ববিদ্যালগুলি তাদের পাঠ্যক্রমের
পরিবর্তন করতে পারে। স্বয়ং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ১২৫টি
বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে কার্যকরী প্রশিক্ষণ দেওয়ার
বিষয়ে অংশ নিয়েছে।
ছাত্রছাত্রীদের জন্য লাইফ স্কিলস বা জীবন কৌশল পাঠ্যক্রম শুরু
হয়েছে ২০১৯এর ১১ই সেপ্টেম্বর। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে অন্তত ৫টি
গ্রামকে দত্তক নিতে হবে যাতে সেই গ্রামগুলির বসবাসকারী মানুষের
6
আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটে। ভারতের উদীয়মান অর্থনীতির জন্য বিভিন্ন
শাখা মিলেমিশে যাতে গবেষণা করে তারজন্য একটি কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
এতে বাড়ছে জ্ঞানের পরিধি।
যেসমস্ত সংস্হা ন্যাকের শংসা চায় তাদের জন্য পরামর্শ কর্মসূচির
সূচনা হয় ২০১৯এর ১৮ই জুলাই।
কারিগরি ক্ষেত্রের প্রশিক্ষকদের জন্য একটি নিবিড় প্রশিক্ষণ
নীতি নেওয়া হয়েছে, যা বিশ্বে এই প্রথম।
৩০ হাজার নবনিযুক্ত এবং ৫ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ৩০ হাজার
শিক্ষককে প্রতি বছর এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
১১টি অটল অ্যাকাডেমি চালু হয়েছে অনেকগুলি রাজ্যে।
প্রোৎসাহন মুদ্রা কর্মসূচিতে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ চালু হয়েছে।
বাধ্যতামূলক বিভাগী উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১২০টি বিভাগে ১৫ হাজার
শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
শুধু বই পড়া বিদ্যা নয়, বিষয়টি সম্পর্কে কতটা ধারণা আছে এবং
দক্ষতা আছে সেটি বুঝে নিতে পরীক্ষার সংস্কার করা হয়েছে। ২০১৯এ ১৭টি
কর্মশিবিরে ২ হাজার ২৫০ জন শিক্ষক অংশ নেন।
এআইসিটিই-র তৈরি বিশেষ পোর্টালে ১ লক্ষের বেশি ইন্টার্নশিপের
খবর দেওয়া আছে।
৬৬টি কেন্দ্রে ৩ লক্ষের বেশি ছাত্রছাত্রী স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথনে
অংশ নেয়।
একটি ছাত্র একটি গাছ কর্মসূচিতে ৫৫ হাজারের বেশি এআইসিটিই
প্রতিষ্ঠানে অংশ নেয়। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ২ লক্ষের বেশি। ২৮
লক্ষের বেশি বৃক্ষরোপণ করা হয়।
এআইসিটিই কলেজগুলি ৩৪ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী জলশক্তি
অভিযানের অঙ্গ হিসেবে স্হানীয় প্রশাসনকে যেখানে যেখানে জলের অভাব
সেইসব জায়গাগুলি সম্পর্কে অবহিত করে।
এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের অধীনে একতার সন্ধানে বৈচিত্র্যের
উদযাপন করা হয়। সারা দেশের ৪ লক্ষের বেশি মানুষ নানা ধরণের
কর্মসূচিতে অংশ নেয়। প্রায় ১৬টি রাজ্য বিশেষ উৎসাহ দেখিয়েছে। ৩৫৮টি
বিদ্যালয়, ২২৭টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২৮টা রাজ্য, ৭টি কেন্দ্রশাসিত
অঞ্চল, ৭টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রক অংশ নেয়।
7
স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অঙ্গ হিসেবে ২০১৯এর ১-১৫ই সেপ্টেম্বর
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্বচ্ছতা পখওয়ারা অনুষ্ঠিত হয়। ১১
সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ অক্টোবর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্বচ্ছতা হি
সেবা উদযাপন করা হয়। ৬ হাজার ৯০০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয় স্বচ্ছাতা
ক্রমপর্যায় অনুশীলন বর্জ্য ব্যবস্হাপনায় বিবিএ এবং এমবিএ পাঠ্যক্রম
শুরু করা হয়েছে।
ফিট ইন্ডিয়া আন্দোলন শপথবাক্য গ্রহণ করা হয় ২০১৯এর ২৯এ
আগস্ট। দোশরা অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলিতে প্লগিং রানের
আয়োজন করা হয়। ফিটনেস সংক্রান্ত আরও বহুবিধ কার্যক্রম
প্রস্তাবিত হয়েছে। ২০২০র ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় গেমস এর
অন্যতম।
ভারতের সংবিধানে ৭০তম বর্ষ উপলক্ষ্যে ২০১৯এর ২৬শে নভেম্বর
সারা দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সংবিধান দিবসে বর্ষব্যাপি
জনসচেতনতা অভিযান শুরু হয়। ৭০০র বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে ১
লক্ষ ৫৫ হাজার ৭৫ জন শিক্ষক ও ছাত্র সংসদের সেন্ট্রাল হলের
অধিবেশন সরাসরি দেখেন এবং সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করেন। কর্তব্য
পোর্টালের সূচনা হয়। ছাত্রছাত্রীদের জন্য জাতীয় রচনা প্রতিযোগিতার
ঘোষণা করা হয়। ১১ রাউন্ড ধরে এই প্রতিযোগিতা হবে প্রতি মাসে। মৌলিক
দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা গড়ার জন্য। ২৬শে ডিসেম্বর প্রথম পর্বের
জন্য ৫ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে।