শফিকে ‘স্বাধীনতা পদক দেয়ার’ দাবি:সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক
জাগরণ রিপোর্ট
দৈনিক জাগরণ
প্রকাশিত : ০৮:২৫ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০১৮ রোববার
রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি সনদকে স্বীকৃতি দেয়ায় শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয় হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ। ওই অনুষ্ঠানে শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্রান্ড ইমাম মাওলানা ফরীদ ঊদ্দীন মাসঊদ বলেন, এদেশে কোনো আলেমকে স্বাধীনতা পদক আজও দেয়া হয়নি। আমি অনুরোধ করবো এদেশের ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য আল্লামা শাহ আহমদ শফি যে অবদান রেখেছেন সেজন্য তাকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হোক।
এরপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিস্টরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সামালোচনা শুরু করেন।
মো. হাবিবুর রহমান নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন,“সবাই হেফাজতে থাকুন !! নির্বাচনের আগে তেতুল মিষ্টি তাই মুখে লালা আসার ভয় নেই!!”
উপহাসের সুরে সাংবাদিক হাসান শান্তনু লিখেছেন, “হেফাজতের বড়ো হুজুর মাওলানা শাহ শফি এখনো ‘স্বাধীনতা পদক’ পাননি বিষয়টা দুঃখজনক।আজকের সংবর্ধনা মঞ্চে সরকারের কেউ একজন তার জন্য একটা পদক নিয়ে গেলে কী এমন ক্ষতি হতো?”
আরেক সংবাদিক রুদ্র মিজান লিখেছেন,“এইসব মৌলভীদের (সবাইকে না) সবসময়ই ধর্ম ব্যবসায়ী বলে জানি। অতীতে এসব বলায় অনেকে ক্ষুব্ধ ছিলেন। তবুও বলেছি। এখনও বলছি।”
বিষয়টি নিয়ে উপহাস করে বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তরের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. নাসিম ভূঁইয়া লিখেছেন,“আহমদ শফিকে শুধু স্বাধীনতা পুরস্কার নয়,৮ম বীরশ্রেষ্ঠ ঘোষণা করা হোক।নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে দাবি জানানো হোক!”
কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শোকরানা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।মাহফিলকে কেন্দ্র করে রোববারের জেএসসি, জেডিসি পরীক্ষা স্থগিত করে শুক্রবার নেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার।
এতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ২৭ লাখ শিক্ষার্থী নতুন করে ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তর্ক-বিতর্ক।
২০১৩ সালে মাওলানা আহমেদ শফি নারীদের তেতুলের সঙ্গে তুলনা করে বড় সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন।ওই সময় তার বিরুদ্ধে নারী আন্দোলন কর্মী থেকে শুরু করে বর্তমান সরকারের অনেকে সমালোচনা করেন। ওই সময় থেকে শাহ আহমেদ শফিকে ‘তেতুল হুজুর’ আখ্যা দিতে শুরু করেন।