শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রাইম মনিটরিং সেলের পুলিশের জালে কোটি টাকা মূল্যের বিষসহ গ্রেফতা

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৩:১৯ পিএম, ৪ জানুয়ারি ২০২০ শনিবার

ক্রাইম মনিটরিং সেলের পুলিশের জালে কোটি টাকা মূল্যের জারবন্দি সাপের বিষসহ গ্রেফতার তিন পাচারকারী।

ক্রাইম মনিটরিং সেলের পুলিশের জালে কোটি টাকা মূল্যের জারবন্দি সাপের বিষসহ গ্রেফতার তিন পাচারকারী।। শুক্রবার রাতে মালদা শহরের ঝালঝলিয়া এলাকার একটি বেসরকারি হোটেল থেকে ওই তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে এক কিলো ওজনের জারবন্দি ওই সাপের বিষ উদ্ধার হয়েছে। তবে এতদিন জারবন্দি তরল অবস্থায় সাপের বিষ উদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু এই প্রথম উদ্ধার হওয়া সাপের বিষ রীতিমতো প্রক্রিয়াকরণ করে ফেলেছে পাচারকারীরা । এতেই অবাক হয়ে গিয়েছে জেলা পুলিশ।
ধৃত পাচারকারীদের বাড়ি কালিয়াচক থানা এলাকায়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আদালতের আবেদন জানিয়ে মালদা জেলা আদালতে হাজির কোরেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  ধৃত পাচারকারীদের নাম রফিক আলি (৪৯),  আসিক মন্ডল (২০) এবং মাসুদ শেখ (২০)।  ধৃত রফিক এবং মাসুদের বাড়ি কালিয়াচক থানার শাহবাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামনটোলা গ্রামে।  আশিক মন্ডলের বাড়ি কালিয়াচক থানার আকন্দবাড়িয়া গ্রামে। ধৃতদের শুক্রবার রাতে মালদা শহরের ঝলঝলিয়া এলাকার একটি হোটেল থেকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গ্রেফতার করে মালদা জেলা পুলিশের মনিটরিং সেলের অফিসারেরা।শনিবার দুপুরে পুরো বিষয়টি নিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তিনি বলেন, জারবন্দি সাপের বিষ উদ্ধার হয়েছে ।  সাপের বিষ সহ কাঁচের জার নিয়ে ওজন প্রায় এক কিলোর মতো। উদ্ধার হওয়া এই বিষের বর্তমান বাজার মূল্য এক কোটি টাকা। তবে ধৃতেরা কোথা থেকে এগুলো সংগ্রহ করেছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষিত আইন এবং চোরাকারবারি অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, এর আগেও কাঁচের জারবন্দি সাপের বিষ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু সেটি তরলজাতীয় পাওয়া গিয়েছে। এই প্রথম সাপের বিষ পুরোপুরি প্রক্রিয়াকরণ করে চিনির দানার মতো তৈরি করে ফেলেছে পাচারকারীরা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে কোন ল্যাবরেটরি থেকেই এই কাজ করা হয়েছে। কালিয়াচকের কোথাও এই ধরনের ল্যাব রয়েছে কিনা সেটাও আমরা তদন্ত করে দেখছি। তবে মাদক জাতীয় দ্রব্য তৈরির ক্ষেত্রে সাপের বিষ সংগ্রহ করা হয়েছিল। যা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বাইরে কোথাও পাচার করা হতো। তবে কোথায় এগুলি পাচার করা হতো এই মুহূর্তে সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন,  ক্রাইম মনিটরিং সেলের এক মহিলাসহ ছয় জন অফিসার কর্মী খদ্দের সেজে ওই হোটেলে অভিযান চালায় । আর তাতেই হাতেনাতে সাপের বিষ পাচার চক্রের এই তিনজনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে এরা এই পাচার চক্রের পান্ডা না ক্যারিয়ার তাও প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কি ধরনের সাপের বিষ সংগ্রহ করেছিল তা বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলা যাবে।