একনেকে ৮৬,৬৮৬ কোটি টাকার ৩৯ প্রকল্প অনুমোদন
কালাম আজাদ
দৈনিক জাগরণ
প্রকাশিত : ০৮:১৯ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০১৮ রোববার
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৩৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬ হাজার ৬৮৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এ অর্থের মধ্যে সরকারের কোষাগার থেকে আসবে ৬৬ হাজার ৪৬৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা; প্রকল্প সাহায্য হিসেবে থাকছে ১৯ হাজার ৯০৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ধরা হয়েছে ৩১৩ কোটি ২১ লাখ টাকা।
রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভা শুরু হয়। সভা শেষে রাত পৌনে ৮টায় প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
উল্লেখ্য, এ সভা বর্তমান সরকারের ১৫০তম এবং চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১৩তম সভা। এটি বর্তমান সরকারের সর্বশেষ সভা।
একনেকে পাস হওয়া প্রকল্পগুলো হলো- বাংলাদেশ রেলওয়ে জয়দেবপুর হতে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প। এর প্রাক্কলন ব্যয় ১৪ হাজার ২৫০ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এছাড়া পূর্বাচল লিংক রোডের উভয়পাশে (কুড়িল হতে বোয়ালিয়া পর্যন্ত) ১০০ ফুট পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা; পায়রা সমুদ্র বন্দরের জন্য টার্মিনাল নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি স¤প্রসারণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা; কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা; ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ৯টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা; পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫৪ কোটি টাকা; পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা; কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে স¤প্রসারণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৭০৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা; ঢাকা-খুলনা (এন-৮) মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে (ইকুরিয়া-বাবুবাজার লিংক পর্যন্ত) মাওয়া পর্যন্ত এবং পাচ্চর-ভাঙ্গা অংশ ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেনসহ ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১১১ কোটি টাকা; বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৭৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা; ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের উৎপাদন পদ্ধতি ওয়েট প্রসেস থেকে ড্রাই প্রসেসে রূপান্তরকরণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৯০ কোটি ১০ লাখ টাকা; কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বিডি) লিমিটেডের সংস্কারে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০২ কোটি ২১ লাখ টাকা; ঢাকার আজিমপুর সরকারি কলোনির অভ্যন্তরে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯২১ কোটি ৮১ লাখ টাকা; কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা; হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪৪ কোটি ২১ লাখ টাকা; টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেলা মহাসড়কের হারিয়াখালী হতে শাহপরীর দ্বীপ অংশ পুননির্মাণ, প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা; টাঙ্গাইল পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা; বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৪৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা; ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এনহ্যান্সমেন্ট প্রকল্পে (এলজিইডি অংশ) ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৫ কোটি টাকা; পশ্চাৎপদ কুড়িগ্রাম ও জামালপুর জেলার দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৫ কোটি টাকা; বঙ্গমাথা ন্যাশনাল সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার রিসার্স সেন্টার স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫০৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা; মুগদা মেডিকেল কলেজের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি স¤প্রসারণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা; সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১০৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা; খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রম স¤প্রসারণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা; বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা; র্যাবের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি ইউনিট স¤প্রসারণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৫ কোটি ২০ লাখ টাকা; ন্যাশনাল পাওয়ার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা। এছাড়া একনেকে পাস হওয়া অন্যান্য প্রকল্প হলো- কুমিল্লা জেলার ৫টি পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন ও গ্রামীণ সড়ক পুনর্বাসন; গোপালগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন; ফরিদপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন; বৃহত্তর ঢাকার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন; তিন পার্বত্য জেলায় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক উন্নয়ন; গ্রামীণ রাস্তার ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু কালভার্ট নির্মাণ ও গ্রামীণ মাটির রাস্তাগুলো টেকসই করার লক্ষ্যে হেরিংবন্ডকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প।