জামিন পেলেন আমীর খসরু
জাগরণ ডেস্ক
দৈনিক জাগরণ
প্রকাশিত : ০৭:৪৮ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০১৮ রোববার
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জামিন-সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (৪ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ রোববার আমীর খসরুর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। গত ২১ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। চট্টগ্রামের একটি আদালত। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মহানগর দায়রা জজ।
আকবর হোসেন মৃধার আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ওই একই মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হয়। এই ঘটনার পরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে আমীর খসরুর মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে কুমিল্লায় অবস্থানরত নওমী নামে এক ছাত্রদল কর্মীর কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। এতে আমীর খসরুর কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, তিনি ওই কর্মীকে বলছেন ঢাকায় এসে লোকজন নিয়ে নেমে পড়তে। ওইদিনই ঢাকার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে হামলা হয়।
গত ৪ আগস্ট বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
মামলায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত ও ষড়যন্ত্রের চেষ্টার অভিযোগ তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/৩ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় জাকারিয়া দস্তগীর দাবি করেন, আমীর খসরুর উসকানির জেরে নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে বিচ্ছৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তার কথার জের ধরেই ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা হয়েছে।