কাজের খোঁজে বাইরে এসে গাড়ি চাপায় মারা গেল চাবাগানের কিশোর
সংবাদদাতা মালবাজার
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৭:০২ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার
কাজের খোঁজে বাইরে এসে গাড়ি চাপায় মারা গেল চাবাগানের কিশোর।
সংবাদদাতা, মালবাজার, ২৭নভেম্বর
বাড়িতে বাবা অস্থায়ী দিনমজুর। মায়েরও স্থায়ী কাজ নেই। ভরসা বলতে দিদিমার চাবাগানে শ্রমিকের কাজ। বাড়িতে ছোট ভাই বোন রয়েছে। তাই কাজের খোঁজে চাবাগানের গন্ডি ছেরে বাইরে বেরিয়ে এসেছিল কিশোর বয়সে।১৭ বছর বয়সেই গাড়ির খালাসির কাজ শুরু করে। দুই বছর এদিকওদিক কাজ করার পর অবশেষে শিলিগুড়ির এক যাত্রীবাহী বাসে খালাসির কাজ পেয়ে যায়। সেই কাজে যোগ দিতে এক বেসরকারি বাসে চেপে শিলিগুড়ি যাচ্ছিল। মালবাজার বাসস্থানে গাড়ি থেকে নেমে জাতীয় সরকের উপর দাড়িয়েছিল। সেই সময় অন্য এক যাত্রীবাহী বাস তাকে পিষে দিয়ে চলে যায়। শুধু পিষে দিয়ে নয়, প্রায় আড়াই কিমি বাসের সাথে ছেছড়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর বছর উনিশের ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। সেই সাথে শেষ হয় এক স্বপ্নের। এক পরিবারের আশা আকাংখার।
মঙ্গলবার বিকালে মালবাজার বাসস্থানে জাতীয় সরকের উপর এই ঘটনার পর নিহত ওই কিশোর পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। পরে পুলিশ মৃত কিশোরের পরিবারের খোজ পায়। জানা যায় মৃতের নাম সুমেশ মাহালি। বাড়ি নাগরাকাটা ব্লকের চ্যাংমারি চাবাগানের আপার ডিভিশনের ডিপা লাইন শ্রমিক বস্তিতে। গভীর রাতে মৃতের বাবা সুজিত মাহালী ও মা মিনা মাহালী দেহ সনাক্ত করে। মৃতের বাবা সুজিত মাহালী জানায়, বাড়িতে আমার বা ওর মায়ের স্থায়ী কাজ ছিল না। ভরসা বলতে দিদিমা শ্রমিকের কাজ। তাই কাজের খোঁজের বাইরে চলে এসেছিল। এই কাজ খুজতে গিয়ে প্রান হারালো।
এই ঘটনায় দেখা যায় চাবাগান গুলিতে অভাব লেগে রয়েছে। সেই অভাব দূর করতে সুমেশের মতো অনেকেই কিশোর বয়সে বাইরে চলে আসছে। কেউ কেউ কাজকর্ম জোগাড় করে পরিবারের পাশে দাড়াতে সক্ষম হলেও আবার অনেকে এই হারিয়ে যায় হতভাগ্য সুমেশের মতো।