রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ম্যাচ হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ?  

স্পোর্টস ডেস্ক

দৈনিক জাগরণ

প্রকাশিত : ০৬:১১ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০১৮ রোববার


দ্বিতীয় দিন শেষেই ম্যাচ হারের শঙ্কা পেয়ে বসেছে বাংলাদেশকে। ১ম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ২৮২ রানে গুঁটিয়ে দিলেও চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় পুরোপুরি দুই সেশন ব্যাটিং করার আগেই প্রথম ইনিংস শেষ বাংলাদেশের। মাত্র ১৪৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ রিয়াদ বাহিনী।  

২৩৬ রান নিয়ে জিম্বাবুয়ের হয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন গতদিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান পিটার মুর ও রেজিস চাকাভা। বেশ ভালোভাবেই সামনে এগোতে থাকে এ জুটি। তবে ধীরে ধীরে ভয়ংকর হতে যাওয়া এ জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। আর এ জুটি ভেঙে যাওয়ার পরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে জিম্বাবুইয়ানদের ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে একাই ৬ উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। আর তার ঘূর্ণি জাদুতেই দ্বিতীয় দিনে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৪৬ রান যোগ করতে পারে সফরকারীরা।  

স্পিন সহায়ক উইকেট পেয়ে যেখানে বাংলাদেশ তিন স্পিনার ও এক পেসার নিয়ে নেমেছিলো, সেই স্পিন পিচেই ছড়ি ঘোরালো জিম্বাবুয়ের পেসাররা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই চাতারার বলে মাত্র ৫ রান করে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান একদিনের সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইমরুল কায়েস। 

লিটনও হাঁটেন একই পথে।  কাইল জারভিসের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে লিটন ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে থাকা চাকাভার হাতে। এর পরে দ্রুতই সাজঘরের পথে হাঁটেন নাজমুল হোসেন শান্ত (৫) ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (০)।  তাদের দুজনের উইকেটই তুলে নেন সেই চাতারা।  তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে যান মমিনুল ইসলাম ও অভিজ্ঞ উইকেট-রক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।  এবারও ব্যর্থ বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা।  সিকান্দার রাজার স্পিনে পরাস্ত হয়ে উইকেট দিয়ে আসতে বাধ্য হন মমিনুল ইসলাম।(১১)।  ভাঙে ৩০ রানের জুটি।  

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতেও আরিফুল হককে সাথে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে যান মুশফিকুর রহিম।  তবে জারভিস আর বেশি দূরে যেতে দিলেন কই? তার বলে।চাকাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৩১ রানে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম।  তখন স্কোরবোর্ডে মাত্র ৭৮ রান।  তবে একদম শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন অভিষিক্ত আরিফুল হক।  সঙ্গীদের আসা-যাওয়ার মিছিলে থেকে যান অপরাজিত।  করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান।  জিম্বাবুয়ের হয়ে চাতারা ও সিকান্দার রাজা নেন ৩টি করে উইকেট।  জারভিস পান ২টি উইকেট।  

প্রথম ইনিংসে ১৩৯ এগিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১ রান করে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে।  আগামীকাল ১৪০ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (১) ও ব্রায়েন চারী।(০)। 


স্কোরকার্ডঃ  

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস : ২৮২/১০; (মাসাকাদজা ৫২, চারী ১৩, টেলর ৬, উইলিয়ামস ৮৮, রাজা ১৯, মুর ৬৩*, চাকাভা ২৮, ওয়েলিং মাসাকাদজা ৪, মাভুতা ৩, জারভিস ৪, চাতারা ০; রাহী ২১-৩-৬৮-১, তাইজুল ৩৯.৩-৭-১০৮-৬, আরিফুল ৪-১-৭-০, মেহেদী ২৭-৮-৪৫-০, নাজমুল অপু ২৩-৬-৪৯-২, মাহমুদুল্লাহ ৩-০-৩-১) 

উইকেটের পতন : ১-৩৫ (চারী, ১০.৪), ২-৪৭ (টেলর, ১৬.২), ৩-৮৫ (মাসাকাদজা, ৩১.৬), ৪-১২৯ (রাজা, ৪৭.৩), ৫-২০১ (উইলিয়ামস, ৭৬.৩), ৬-২৬১ (চাকাভা, ১০২.১), ৭-২৬৮ (ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ১০৯.৩), ৮-২৭৩ (মাভুতা, ১১২.৫), ৯-২৮২ (জারভিস, ১১৭.২), ১০-২৮২ (চাতারা, ১১৭.৩) 

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ১৪৩/১০; (লিটন ৯, কায়েস ৫, মমিনুল ১১, শান্ত ৫, মাহমুদুল্লাহ ০, মুশফিকুর ৩১, আরিফুল* ৪১, মেহেদী ২১, তাইজুল ৮, নাজমুল ৪, রাহী ০; জারভিস ১১-২-২৮-২, চাতারা ১০-৪-১৯-৩, মাভুতা ৬-০-২৭-০, রাজা ১২-২-৩৫-৩, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ৮-২-২১-০, উইলিয়ামস ৪-০-৫-১) 

উইকেটের পতন : ১-৮ (কায়েস, ৩.৫), ২-১৪ (লিটন, ৮.৩), ৩-১৯ (শান্ত, ৯.৩), ৪-১৯ (মাহমুদুল্লাহ, ৯.৫), ৫-৪৯ (মমিনুল, ১৮.৩), ৬-৭৮ (মুশফিকুর, ২৮.২), ৭-১০৮ (মেহেদী, ৩৮.২), ৮-১৩১ (তাইজুল, ৪৫.৪), ৯-১৪৩ (৪৯.৫), ১০-১৪৩ রাহী (৫১)  

জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংসঃ ১/০ (মাসাকাদজা* ১, চারী* ০; তাইজুল ১-০-১-০, নাজমুল অপু ১-১-০-০)