সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৩ ১৪৩১   ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কার্টুন ভালোবাসেন কিল্তু আঁকার টিপস জানেন না

পল মৈত্র

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৯:৩৩ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার

কার্টুন ভালোবাসেন কিল্তু আঁকার টিপস জানেন না? ফ্রিলান্সার কার্টুনিষ্ট হতে চান তাহলে প্রতিবেদনটি পড়ুন

 

পল মৈত্র,বিশেষ প্রতিবেদনঃ কার্টুন ভালোবাসেন কিল্তু আঁকার টিপস জানেন না? সত্যি বলতে কার্টুন বা কমিক্স আঁকার বেসিক কোন রুলস নেই পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, কল্পনা ও হিউমার থাকলে আপনি একজন কার্টুনিষ্ট হতে পারবেন। ছোটবেলায় আমরা এমন কেউ নেই যে কার্টুন দেখিনা বা কমিক্স পড়িনি। নারায়ন দেবনাথ, চন্ডী লাহিড়ী, আরকে লক্ষন, মারিয়া মিরান্দো আরো কত কার্টুনিষ্টদের কার্টুন ও কমিক্স আমাদের ছোটবেলার হিউমারের রসদ ছিলো। সেই হিউমার ও কল্পনাকে কাজে লাসিয়ে কার্টুনিষ্ট হওয়ার ভালোবাসাটাকে এবার কাজে লাগাতে পারেন। একজন ফ্রিলান্সার কার্টুনিষ্ট হিসাবে নানান দৈনিক-সাপ্তাহিক-মাসিক কাগজ বা পত্রিকায় কার্টুন আঁকতে পারেন।
কার্টুন আঁকার ক্ষেত্রে প্রথমেই সকলকে যেই সমস্যায় পড়তে দেখা যায়, তা হলো কার্টুন আইডিয়া। প্রত্যেকটি কার্টুনই পাঠকের সামনে একটি গল্প নিয়ে উপস্থিত হয়। তাই কার্টুনের জন্য এই গল্প বলা তথা আইডিয়া অত্যন্ত গুরুত্ববহ। আসুন দেখি, কি কি উপায়ে একটি কার্টুন আইডিয়া পাওয়া সম্ভব।
দৈনিক পত্রিকা পড়ুন। খুঁজে বের করুন সেই সকল তথ্য যা দিয়ে একটি রসাত্বক কার্টুন আঁকা সম্ভব। পত্রিকার রম্য সংখ্যায় করা কার্টুনগুলোর দিকে নজর দিন। মাসিক ফান ম্যাগাজিন এবং দেশি বিদেশি কমিক্সগুলোও পড়তে পারেন সুযোগ পেলে। তবে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় বিষয় সম্পর্কিত কার্টুন আঁকার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন।
জোকস পড়ুন, একটি সাধারণ জোকস থেকে কয়েক বক্স কার্টুন করার চেষ্টা করুন।
নিজের ব্যাক্তিজীবনে দেখা মজার মানুষদের আলোকে কার্টুন চরিত্র তৈরী করুন। নিজের জীবনের যে কোন মজার ঘটনা নিয়েই কার্টুন করা সম্ভব, একটি সম্পুর্ন ঘটনা কয়েকটি ফ্রেমে ভাগ করুন।
কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি করুন। সাধারণ একটি দৃশ্যকে নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে রসাত্বক করে তুলুন। অর্থাৎ হিউমারটা কার্টুন আঁকার ক্ষেত্রে খুব দরকার।
সাধারণ একজন মানুষের মুখে যে সকল অংশ দেখতে পাওয়া যায়, কার্টুনের ক্ষেত্রেও তাই থাকবে। একটি ডট দিয়েও চোখ বোঝানো যায়, আবার বৃত্ত এঁকে তার মাঝে ডট দিয়েও বোঝানো যায়। ঠোঁট আঁকার ক্ষেত্রে দুই বা তিনটি লাইনই যথেষ্ট। কার্টুন ফেইসের ক্ষেত্রে আই ব্রো, এবং ঠোঁট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আই ভ্রু এবং ঠোঁট দিয়েই মুখের যাবতীয় অভিব্যক্তি প্রকাশ করা যায়। একই চরিত্রের দুটি কার্টুনের ক্ষেত্রে নাক, কান এবং চুলের অংশ পরিবর্তন হয়না। কথা বলার ভঙ্গি, আবেগের পরিবর্তনের জন্য চোখ, ঠোঁট এবং চোয়ালের আকৃতিতে পরিবর্তন আসতে পারে।
ফেইস ড্রয়িংয়ের শুরুতে একটি বৃত্ত এঁকে নিন। একে একে চোখ, আই ব্রো, নাক, ঠোঁট, কান, চুল এবং ইচ্ছেমত কপাল এবং চোয়ালের অংশে শেইপ দিন। কার্টুন আঁকায় ধরা বাধা কোন নিয়ম নেই। আঁকতে পারেন যেমন খুশি।
 শুরুর দিকে কার্টুনিস্টদের অনিহা থাকে হাত আঁকায়। মাথা এঁকেই তারা ক্ষান্ত দেন, ফলাফল- কার্টুনে হাত আঁকতে গিয়ে হাতের বদলে শলার ঝাড়ু আঁকেন। হাত আঁকাটা পুরোটাই প্র্যাকটিসের উপর। তবে এখানেও প্রথমে বৃত্ত এঁকে শুরু করতে পারেন ও ময়দানে নেমে আইডিয়া দিয়ে কার্টুন একে ফেলুন।