সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়ির ১০ বছর সশ্রম কা

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৭:৩০ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়ির ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড।

হক নাসরিন বানু, মালদা:
পণের দাবীতে বিবাহর ৩৫ দিনের মাথায় নববধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়িকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল মালদা জেলা আদালত। পাশাপাশি ৪৯৮ এ ধারায় তিন বছরের জেল এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছমাস জেলের নির্দেশ দিয়েছে মালদা জেলা আদালত । বৃহস্পতিবার মালদা অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ফোর্থ কোর্টের বিচারক ভবানী শংকর শর্মা এই রায় ঘোষণা করেন। বিচারকের এই রায়ে খুশি প্রকাশ করলেও কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত গৃহবধূর মা বিশাখা মাঝি। সরকারি পক্ষের আইনজীবী ইকবাল আলম আফজা জানিয়েছেন, মৃত গৃহবধূর নাম রুবি মাঝি (১৯)। তার বাড়ি মালদা হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দৌলতনগর গ্রামে। অভিযুক্ত স্বামী বিকাশ মণ্ডল এবং শাশুড়ি সাবিত্রী মন্ডল। তাদের বাড়ি ইংরেজবাজার থানার আমজামতলা এলাকায়। গত ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর দেখাশোনা করে বিয়ে হয় বিকাশ মন্ডলের‌ সঙ্গে রুবি মাঝির।  বিয়ের ৩৫ দিনের মাথায় ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি ওই গৃহবধূর শ্বশুর বাড়িতেই রহস্যজনক ভাবে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়। এরপর ১৩ জানুয়ারি মৃত গৃহবধূর মা বিশাখা মাঝি জামাই ও শাশুড়ি বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মালদা ইংলিশ বাজার মহিলা থানায়। পণের দাবিতে তার মেয়েকে স্বামী এবং শ্বাশুড়ী পুড়িয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই শুরু হয় মামলা।আইনজীবী ইকবাল আলম আফজা আরও জানিয়েছেন,  এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে কেস নম্বর দেওয়া হয় ১৪/১৬। পাশাপাশি ৪৯৮(এ) এবং ৩০৪(বি) ধারায় মামলা রুজু হয় । তিন বছরের মধ্যেই ওই গৃহবধূ খুনের ঘটনার মামলার নিষ্পত্তি করে মালদা অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ফোর্থ কোর্ট । মঙ্গলবার অভিযুক্ত স্বামী বিকাশ মণ্ডল এবং শাশুড়ি সাবিত্রী মন্ডলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এরপরই বৃহস্পতিবার দোষীদের বিরুদ্ধে এই সাজা শোনানো হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৫ জন সাক্ষী দেয়।
এদিকে মৃত গৃহবধূর মা বিশাখা মাঝি বলেন,  বিয়ের পর থেকেই সোনার গয়না, নগদ টাকার জন্য আমার মেয়েকে মারধর করতো জামাই এবং শাশুড়ি। এই অত্যাচারের কথা মেয়ে আমাকে বলেছিল। বিয়ের মাত্র ৩৫ দিনের মাথায় ওরা মেয়েকে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করে। বৃহস্পতিবার আদালত ওদের কঠোর শাস্তি দিয়েছে। তবে ফাঁসি হলে আরো ভালো হতো আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পেত।