শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী যুবক।

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৮:১১ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার

মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী যুবক।

 মালদা:
মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অপমান সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অবস্থিত পাড়া এলাকায়। ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।২৫ দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল, মিথ্যা অভিযোগে জেল হওয়ায় যুবক আত্মঘাতী হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
পুলিশ জানায় মৃতের নাম রাহুল পাশওয়ান(২১) | মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে১১ দিন জেল হেফাজতে থেকে বাড়ি ফেরার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল ওই যুবক বলে পরিবারের অভিযোগ ।বাড়িতে ঢুকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে এক তরুণীকে জোর করে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছিল রাহুল পাশওয়ান।তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে ও বাড়িতে ঢুকে তাদেরই মারধর করেছে এমন অভিযোগ পুলিশের পাশাপাশি আদালতে জানিয়েছিল যুবকের পরিবার ।কিন্তু কেন তাদেরই মিথ্যে অভিযোগে জেলে যেতে হল, কেনই বা তাদের অভিযোগের কোনো ব্যবস্থা পুলিশ নিল না, কয়েকদিন ধরে সেই প্রশ্ন অনবরত করতেন যুবক বলে পরিবারের দাবি । এরপর সোমবার রাতে বিপক্ষে লোকজন বাড়িতে চড়াও হয়ে তাদের বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ | তারপরে এদিন সকালে শোয়ার ঘর থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় | এদিন বিকেলে তরুনীর পরিবার ও প্রতিবেশী মিলিয়ে আটজনের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতের পরিবার |
 পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, একসময় মনোজ পাশওয়ান ও তরুনীর পরিবারের মধ্যে মধুর সম্পর্ক ছিল ।যাতাযাত ও ছিল। সেই সুবাদেই ছেলে অভিজিতের সঙ্গে তরুনীর সম্পর্ক তৈরি হয় বলে দাবি মনোজ পাশওয়ানের । তা নিয়ে দুই পরিবারে বিবাদ বাধে ।কয়েক মাস আগে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার পর আর দুই পরিবারে আর কোন সম্পর্ক ছিল না । কিন্তু গত আগস্ট মাসে অভিজিৎ তরুনীর বাড়িতে ঢুকে জোর করে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ।তার সঙ্গে বাবা মনোজ ও দাদা রাহুল ছিলেন বলে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয় । উল্টো দিকে তাদের বাড়িতে ঢুকে তরুণীর আত্মীয় কয়েকজন প্রতিবেশী চড়াও হয়ে বাড়ি ভাঙচুর ও মারধর করেন পাল্টা অভিযোগ করেন মৃত রাহুলের মা রেখা পাশওয়ান । গত মাসে পুলিশে রাহুল, তার ভাই ও বাবাকে গ্রেফতার করে | ১১দিন বাদে তারা জামিন পান| 
 পেশায় অনুষ্ঠানবাড়ির ক্যামেরাম্যান রাহুল বাড়ি ফেরার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন । তার পরেও তাকে কয়েকজন প্রতিবেশী ও তরুণের পরিবারের লোকজন মানসিক নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ ।
 বাবা মনোজ পাশওয়ান বলেন ওকে এর মধ্যে ডাক্তার দেখিয়েছি । আজও মালদায় ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাবার কথা ছিল।কিন্তু তার আগেই ছেলেটা নিজেকে শেষ করে দিল।হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন গত আগস্ট মাসে দুই তরফেই অভিযোগ করা হয়েছিল ।তরুণীকে বাড়িতে ঢুকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় ।ধৃতদের অভিযোগের তদন্ত চলছে।