শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কালিয়াচকের সানিউল শেখের বাড়ি থেকে ৫৭৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার।

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৮:০২ পিএম, ১ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

কালিয়াচকের সানিউল শেখের বাড়ি থেকে ৫৭৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার।

হক নাসরিন বানু, মালদা;
মালদা কালিয়াচক থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কালিয়াচকের সানিউল শেখের বাড়িতে হয় না দিয়ে ব্রাউন সুগার প্যাকিং করে বাজারে বিক্রির কারবারের চক্রের হদিস পেল।
 বৃহস্পতিবার বিকেলে কালিয়াচকের সানিউল শেখের বাড়িতে হানা দিয়ে সেই কারবারের হদিশ পেল পুলিশ। যদিও বাড়িতে সানাউল ছিল না। তবে ওই বাড়ি থেকে ৫৭৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার সহ ওজন মাপার ডিজিটাল যন্ত্র, টাকা গোনার মেশিন ও লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নাগাদ কালিয়াচক থানার পুলিশের একটি দল সানিউল শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয়। ওই বাড়ির রান্নাঘরে তল্লাশি চালাতে গিয়ে ব্রাউন সুগার বিক্রির কারবারের সন্ধান মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাড়ি থেকে একটি প্যাকেটে ২৫৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার, আরও একটি প্যাকেটে প্রক্রিয়াজাত ৩২০ গ্রাম ব্রাউন সুগার মেলে। এ ছাড়া সেখানে একটি ওজন করার ডিজিটাল যন্ত্র, একটি টাকা গোনার মেশিন, এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা, পার্সেলের জন্য বেশ কিছু প্লাস্টিক পাউচ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বাড়িতে কেউ না থাকায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, মাদকের কারবারের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে। এই কারবারে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মদ, গাঁজা বা অন্য ধরনের মাদক এখন ব্যাকডেটেড। উঠতি যুবক যুবতিদের একাংশ ঝুঁকেছে ব্রাউন সুগারের দিকে। জেলা জুড়ে আধুনিক এই মাদকের কারবার বেড়ে যাওয়ায় একদিকে যেমন রাতের ঘুম উড়েছে অভিভাবকদের, তেমনই উদবিগ্ন পুলিশ প্রশাসনও। যুবসমাজকে ব্রাউন সুগারের মতো মারাত্মক নেশার ছোবল থেকে রক্ষা করতে মাদককারবারীদের ধরার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করার ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। মালদা জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি বিশেষ মোবাইল নম্বর দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। ব্রাউন সুগার সহ যে কোনো মাদক কারবারের হদিশ এই নম্বরের মাধ্যমে পুলিশকে দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষ করে কালিয়াচক এলাকাতে এই মাদকের কারবার বেশি হওয়ার কারণে সেখানেই প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে। এর সুফলও পুলিশ পেতে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত কয়েকদিনে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হানা দিয়ে একাধিক মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর মাদক দ্রব্য।