শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অমাবশ্যার রাত্রে নয়, চতুর্থীর দুপুরে দশটি মাথা মহাকালির পূজিত মা

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৬:২৯ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার

অমাবশ্যার রাত্রে নয়, চতুর্থীর দুপুরে দশটি মাথা মহাকালির পূজিত মালদা শহরে।

হক নাসরিন বানু, মালদা:
অমাবশ্যার রাত্রে নয়, চতুর্থীর দুপুরে মালদা শহরে পূজিত হয় দশটি হাত, দশটি পা এবং দশটি মাথা যুক্ত মহাকালি। এই মহাকালির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য অমাবস্যার আগেই মায়ের পুজো সম্পন্ন করা হয়।দশটি হাত, দশটি পা এবং দশটি মাথা এই মহাকালির। পরম্পরা মেনেই প্রায়ই ৯০ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন ১০ মাথার এই মহাকালী। প্রাচীন এই পরম্পরা এতটুকু ভাটা পড়েনি বলে জানা গেছে। মালদা শহরের ইংরেজবাজার থানার অন্তর্গত গঙ্গা বাগে অনুষ্ঠিত হয় এই দশ মাথার মহা কালী পুজো। শনিবার দুপুরে তিথি অনুযায়ী চতুর্থীর দুপুরে মহা কালীর পুজো সম্পূর্ণ করা হয়।জানা যায় ইংরেজ বাজার ব‍্যম সমিতির উদ্যোগে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় এই মহা কালী পুজো। পুজো উদ্যোক্তাদের মুখ থেকে জানা গেল শনিবার থেকে বহু বছর আগে ইংরেজদের শাসনকাল থাকাকালীন ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়তে এই পুজোর সূচনা করা হয়। সেই থেকে আজও প্রাচীন পরম্পরা অনুযায়ী পূজিত হয়ে আসছেন ১০ মাথার মহাকালী পুজো। আরো জানা গেল মায়ের পুজো শোল মাছের ভোগ চড়ানো হয়। তান্ত্রিক মতে পূজিত হন মা।
 ব্যাতিক্রমী এখানে শিব নেই। আছে ১০ টি করে মাথা, হাত, পা। ১৯৩০ সালে শুরু দশমাথার মহাকলী পূজা। 
আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা স্থায়ী মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। পঙ্চমুন্ডের থানে পূজা হয় তান্ত্রিক মতে।
 পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র দ্বারা এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় গোটা শহর জুড়ে। অসংখ্য ভক্ত পা মেলান এই শোভা যাত্রায়। মাকে মন্দিরে নিয়ে আসার পর মায়ের পুজো রীতি-রেওয়াজ মেনে সম্পূর্ণ করা হয়।