শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মোবাইল ও মোটরবাইক চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার দুই যুবক।

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৯:১৫ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

মোবাইল ও মোটরবাইক চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার দুই যুবক।

হক নাসরিন বানু মালদা:

মালদা শহর দিনের আলোয়  বুধবার মোবাইল ও বাইক চোর সন্দেহে দুই যুবককে বেঁধে রাস্তায় ফেলে ব্যাপক গনপিটুনী দিলো একাংশ উত্তেজিত জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা শহরের রামকৃষ্ণপল্লীর নবীন হল সংলগ্ন ৩৪ নং জাতীয় সড়ক এলাকায়। আশেপাশেই বিভিন্ন দোকান, শপিং মল রয়েছে। সেখানে প্রায় প্রতিদিনই চুরি হচ্ছে অসংখ্য মোবাইল ফোন এবং মোটরবাইক রাস্তার ধারে রাখা থাকে। সেখান থেকে একটি বাইক ও মোবাইল চুরি করে ওই দুই যুবক পালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। ঠিক সেই সময় ধরে ফেলে বলে স্থানীয় একাংশ মানুষ।তারপরেই শুরু হয় ওই দুই যুবককে গণধোলাই। চড় , থাপ্পড়, কিল-ঘুষি পাশাপাশি লাঠিপেটা করা হয় ওই দুই যুবককে।  তাদের মুখ দিয়ে অঝোরে রক্ত ঝরতে থাকে। প্রায় আধ মরা অবস্থায় রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকে ওই দুই যুবক। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মালদা ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। পুলিশি হস্তক্ষেপে ক্ষিপ্ত মানুষের হাত থেকে উদ্ধার হয় ওই দুই যুবক। উদ্ধার হওয়া দুই যুবককে মালদা ইংরেজবাজার থানার পুলিশ তাদের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছে মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আটক দুই যুবকের নাম মনোতোষ দাস (২১) এবং ঝন্টু সাহা (২০)। তাদের বাড়ি ইংরেজবাজার থানার তেলিপুকুর এলাকায়। এদিন নবীন হল সংলগ্ন একটি শো-রুমের পাশেই ওই দুই যুবক নাকি একটি বাইক চুরির চেষ্টা চালাচ্ছিল। আর সেই সময় এলাকার কিছু মানুষ দেখে ফেলে। এরপর ওদের হাতেনাতে ধরে নেয়। শুরু হয় বেদম প্রহার। কখনো রাস্তার ধারে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে ।আবার কখনো হাত-পা বেঁধে চলে গণধোলাই। একাংশ জনতার মারে রীতিমতো জখম হয়ে পড়ে ওই দুই যুবক ।স্থানীয় একাংশ মানুষের বক্তব্য, সময়মতো পুলিশ যদি না ঘটনাস্থলে পৌঁছাত। তাহলে একাংশ জনতার গণপিটুনিতে হয়তো ওরা মরেই যেত।এদিকে মালদায় ঘনঘন গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে রীতিমতো অসন্তুষ্ট জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তিনি বলেন, এভাবে আইন যদি কেউ হাতে তুলে নেয় তা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না । যদি চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় যদি কাউকে সন্দেহজনক বলে মনে হয়, বা ধরা পড়ে। তাহলে অবশ্যই নিকটবর্তী থানায় খবর দিন। পুলিশের হাতে তুলে দিন । মারধর করে আইন কেউ নিজের হাতে তুলবেন না।