রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাম্পের প্রতিটি সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে বিশ্বঃ খামেনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, জাগরন

দৈনিক জাগরণ

প্রকাশিত : ০২:৫৫ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০১৮ রোববার

ছবি সংগৃহিত

ছবি সংগৃহিত

ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নিষেধাজ্ঞার প্রাক্কালে শনিবার টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর সামনে দেওয়া এক ভাষণে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বিশ্ব প্রত্যাখ্যান করেছে। পুরো দুনিয়াজুড়ে তার নীতি বিরোধিতার মুখে পড়েছে। নিজেদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

 
খামেনি বলেন, মার্কিন সমর্থিত শাহকে হটিয়ে ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর যুক্তরাষ্ট্র পুনরায় ইরানে তার আধিপত্য জোরদারে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, আমেরিকার লক্ষ্য হচ্ছে ১৯৭৯ সালের আগে ইরানে তাদের যে আধিপত্য ছিল, সেটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু তাদের সে লক্ষ্য ব্যর্থ অর্জন হয়েছে। গত ৪০ বছর ধরেই আমেরিকা ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের কাছে পরাজিত হয়েছে।


তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের বিরুদ্ধে সামরিক এবং অর্থনৈতিক যুদ্ধ চালানোর পাশাপাশি তাদের গণমাধ্যমকেও ইরানের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে।


এদিকে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর উপ-প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, ইরানের সঙ্গে সামরিক সংঘাতের অবস্থায় নেই আমেরিকা। তিনি বলেন, আমেরিকা সামরিক দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিও ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। ইরানের 'টিভি চ্যানেল ওয়ান'-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

সালামি বলেন, মার্কিন যুদ্ধনীতির প্রতি বিশ্বজুড়ে আগে যে রাজনৈতিক সমর্থন ছিল এখন আর তা নেই। বিশ্বের কোনও দেশই এখন আর মার্কিন আগ্রাসনকে সমর্থন করে না।

আইআরজিসি'র উপ-প্রধান বলেন, আমেরিকা পশ্চিম এশিয়ায় সাত ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেও কোনও ফল পায়নি। এখন দেশটির অর্থনীতি নতুন কোনও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়। ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমরা শত্রুর মৌলিক স্বার্থে আঘাত আনতে সক্ষম।

বিশ্বের আটটি তেল ক্রেতা দেশকে ইরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখার মার্কিন সিদ্ধান্তকে তেহরানের জন্য বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেন ব্রিগেডিয়ার সালামি। তাদের নিষেধাজ্ঞার সময় ইরানের উন্নয়ন ও অগ্রগতির মাত্রা বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সময় আমরা পেট্রোল উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছি। ন্যানো প্রযুক্তিসহ বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে মৌলিক অর্জনগুলোও এসেছে নিষেধাজ্ঞার ভেতরেই। সূত্র: রয়টার্স, পার্স টুডে।