শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভগ্ন অবস্থায় পীরোত্তর জাহান পীর মাজার শরীফের উরুষ মোবারক উদযাপন।

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৮:৫৩ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

 মালদা: প্রতিবছরের ন্যায় এবছরের আরবি মাসের ১০ তারিখে মহরমের দিন মালদা শহরে অবস্থিত পীরোত্তর জাহান পীর মাজার শরীফের ভগ্ন অবস্থায় উরুষ মোবারক উদযাপন করা হয়। আরবি মাসের ৯ তারিখ সোমবার মাজার গোসলের ব্যবস্থা ও কোরআন তেলাওয়াত এর ব্যবস্থা করা হয়। আরবি মাসের ১০ তারিখ অর্থাৎ মহরমের দিন মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় চাদর পুষি ফাতেহা ও দোয়া তারপর তাবারুক শিরনি বিতরণ করা হয়। এই দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ মালদা সংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী, মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি মৌসাম বেনাজির নুর, মালদা ইংরেজবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর আশীষ কুন্ডু, কাউন্সিলর শুভময় বসু সহ পিরোত্তর জাহান পীর-মাজার এস্টেট কমিটির সদস্যরা। এই দিনের অনুষ্ঠান সম্পর্কে দক্ষিণ মালদার সংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও জাহান পীর মাজার শরীফে ঊরুষ উদযাপন হয়েছে। প্রতিবারই আমি এসে থাকি এই দিনেএই মাজারে। অনুষ্ঠান শেষে মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি মৌসাম বেনাজির নুর বলেন আজ আরবি মহরম মাসের দশ তারিখ জাহান পীর মাজারে ঊরুস মোবারক আমাকে কমিটির সদস্যরা আসার জন্য আমন্ত্রণ করেছিলেন আমি এসেছি খুব ভালো লাগছে। তার সাথে পীরোত্তর জাহান পীর মাজার এস্টেট কমিটির সদস্যরা আমাকে তাদের কিছু সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আমাকে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে এই দৃশ্য দেখে, পীরসাহেবের জায়গায় সংখ্যালঘু ভবন তৈরি হয়েছে অথচ পীর সাহেব নিজের জায়গায় টালের ঘরে আছেন। আমি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সঙ্গে কথা বলবো যেন অতি শীঘ্রই পীর সাহেবের মাজারে ছাদের ব্যবস্থা অতি শীঘ্রই হয়ে যায়। জাহান পীর মাজারের সভাপতি শামীম আনিস জানান প্রতিবছরের ন্যায় মহরমের দিনে আমাদের এই মাজারে ঊরুষ মোবারক উদযাপন করা হয়েছে। এইখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মপ্রাণ মানুষ আসেন ও দোয়া করেন। আমরা দশ বছর ধরে এই কমিটিতে আছি আমাদের দীর্ঘদিন ধরে একটা দাবি করে আসছি জাহান পীর মাজারে কনস্ট্রাকশন করে ছাদের ব্যবস্থা করার। পশ্চিমবঙ্গ ওয়াকাপ বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল গনি সাহেব কে জানিয়ে আমরা জাহান পীর মাজার শরীফের প্ল্যান মালদা ইংরেজবাজার পৌরসভায় জমা দিয়েছি কিন্তু দুঃখের বিষয় মালদা ইংরেজবাজার পৌরসভার উদাসীনতার জন্য আজ পর্যন্ত আমাদের প্ল্যান পাস হয়নি। বর্তমানে মাজার ভগ্ন অবস্থায় আছে অতি শীঘ্রই যদি কাজ না করা হয় যেকোনো দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে সাধারণ মানুষ। মালদা শহরের ডিএম বাংলোর সামনে ভগ্ন অবস্থায় মাজার থাকার জন্য শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।