শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হিন্দু-মুসলিমের সম্প্রীতির অপুর্ব্ব নিদর্শন বীরভূমের রাজনগরে।

খান আরশাদ, বীরভূম

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১০:৫৮ পিএম, ১২ আগস্ট ২০১৯ সোমবার

 

 

মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান। কবি নজরুলের এই কবিতার রূপ দিলো বীরভূমের প্রাচীন রাজধানী রাজনগর।  সোমবার মুসলিমদের ইদ-উল-আযহার পাশাপাশি ছিলো শিবের মাথায় জল ঢালার অনুষ্ঠান। হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের নিজ নিজ পর্ব্ব সম্পন্ন হল বেশ সুষ্ঠুভাবেই । একই দিনে দুই ভিন্ন ধর্মী মানুষদের উৎসব থাকলেও তা সম্প্রীতির উৎসবে পরিনত হল রাজনগরবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। সোমবার বীরভূমের রাজনগরের নাকাশ গ্রামের মা মঙ্গল চন্ডির মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালতে যান এলাকার হাজার হাজার ভক্তরা। কিন্তু এখানে স্বেচ্ছা সেবক হিসেবে বহু মুসলিম যুবক নিযুক্ত ছিলেন। অপর দিকে মুসললিমদের ইদগাহে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় সেখানেও স্বেচ্ছা সেবক হিসেবে অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবকরা নিযুক্ত ছিলেন। উদ্দেশ্য একটাই একে অপরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। যাতে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই নিজ নিজ উৎসব সুষ্ঠ ও নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারেন।

দেশের অন্যান্য অংশে যখন সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে সম্প্রীতির বাতাবরণকে নষ্ট করে চলেছে সেখানে এই রাজ্যের এক প্রাচীন ঐতিহাসিক জায়গার অধিবাসীরা তাদের প্রাচীন ঐতিহ্য অটুট রাখতে সক্ষম হল।যা শুধু জেলা বীরভূমই নয় সারা দেশের জন্যও দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়ালো। যা করে দেখালো রাজনগরের হিন্দু মুসলিম যুব সম্প্রদায়। এক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা ছিলো হিন্দুদের আনন্দ মঠ সংগঠন, মুসলিমদের রাহে ইসলাম কমিটি ও রাজনগর থানার। হাতে হাত মিলিয়ে এদিন সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি করেছেন সোমনাথ ভট্টাচার্য, মহঃ সরিফ, নাগ, কৌসর, সেখ মন্টুর মতো শুভচিন্তক ব্যাক্তিরা। তাঁদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার আপামর জনসাধারণ।