শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বীরভূমের খুষ্টিগিরীতে ঈদ-উল-আযহা`র নামাযে সম্প্রীতির বার্তা।

খান আরশাদ, বীরভূম

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১০:৫৪ পিএম, ১২ আগস্ট ২০১৯ সোমবার

 

 

বীরভূমের পাড়ুই থানার খুষ্টিগিরীতে হজরত আব্দুল্লাহ কেরমানী (রহঃ) এঁর মাজার শরীফ প্রাঙ্গণে আয়োজিত ইদ-উল-আযহার নামাজে শামিল হয়েছিলেন এলাকার অগনিত ভক্ত। খুষ্টিগিরী দরগাহ শরীফের পীর হজরত সৈয়দ শাহ বজলে রহমান কেরমানী এই পবিত্র ঈদ উল আযহা প্রসঙ্গে বলেন―ঈদ-উল-আযহা উৎসব ― ত্যাগ, সংযম ও আত্মদানের উৎসব। ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহতালার আদেশ পালন তথা সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষে স্বীয় পুত্র কে কোরবানী করতে উদ্যত হয়েছিলেন। তাঁর এই মহান ত্যাগের স্মৃতিতে সমগ্র মুসলিম জাতি প্রতি বছর আরবি জিলহজ্জ্ব মাসের ১০তারিখ ঈদ-উল-আজহা পালন করে থাকেন। 

পীর সাহেব সৈয়দ বজলে রহমান কিরমানি সাহেব উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন মানুষ মানুষ মাত্রেই কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-পরনিন্দা-পরশ্রীকাতরতা বিষর্জন দিতে হবে। মানবতাবোধ-শৃঙ্খলাবোধ ও সম্প্রীতি রক্ষায় হতে হবে সচেষ্ট। তবেই সার্থক হবে উৎসর্গের উৎসব ― কোরবানী। বিশ্বময় বিরাজ করবে মহান আল্লাহপাকের মেহেরবানী।

ঈদ-উল-আযহার নামাজ শেষে বিভিন্ন গ্রামের ও দূর দুরান্তের পুণ্যার্থীরা হজরতকে সালাম ও শ্রদ্ধা জানান। একে অপরকে হাতে-হাত মিলিয়ে ও বুকে-বুক মিলিয়ে প্রীতি বিনিময় করেন। হজরত সইয়েদেনা শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানী (রহঃ) ও তাঁর বংশধরগনের মাজার শরীফ ভক্তেরা জিয়ারত করেন, দোয়া-আশীর্বাদ চেয়ে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যান। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আজকের ঈদ উৎসব পালিত হওয়ায় মসজিদের ইমাম শামসের আলম সাহেব দরগাহ শরীফের পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। উপস্থিত ছিলেন হজরত সইয়েদেনা শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানী (রহঃ)এর উত্তরসুরী পীর সাহেব সৈয়দ বজলে রহমান কিরমানী, সৈয়দ মহঃ হাফিজুর রহমান কিরমানি, সৈয়দ শাহ্‌ মহঃ মাহজুজুর রহমান কিরমানি ও বহু বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।