লাঠি চার্জের পর ফের রাত দুপুরে শিক্ষকদের গ্রেপ্তার।
খান আরশাদ, শিলিগুড়ি
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৮:০৮ এএম, ৯ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার
রাজ্যের বৃত্তিমূলক শিক্ষক প্রশিক্ষকরা বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন শিলিগুড়িতে। মঙ্গলবার আন্দোলনকারী ওইসব শিক্ষকদের ওপর পুলিশ নির্মমভাবে লাঠি চার্জ করে। তবুও আন্দোলন থেকে পিছু হটেননি শিক্ষক প্রশিক্ষকরা। বুধবার ফের রাত দুপুরে পুলিশ ৩৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকা সহ গ্রেপ্তার করে। পুলিশের এই ভুমিকায় নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজ্যজুড়ে।
পশ্চিমবঙ্গ বৃত্তিমূলক শিক্ষক, প্রশিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের পক্ষ থেকে কাজের স্থায়ীকরণ ও বেতন বৃদ্ধির দাবীতে শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় ডেপুটেশন ও অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি সহ রাজ্যের সাতটি জেলার ভোকেশনাল শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা মঙ্গলবার শিলিগুড়ির নৌকাঘাট মোড় থেকে মিছিল করে উত্তরকন্যায় গিয়ে ডেপুটেশন দিতে যান। কিন্তু তিনবাতি মোড়ে পৌঁছতেই পুলিশ শিক্ষকদের মিছিল আটকে দেয়। এরপরই পুলিশ শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের ওপর বেধড়ক লাঠি চার্জ করে। ফলে জখম হন বেশ কয়েকজন শিক্ষক। এর মধ্যে একজনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিক্ষকরা পুলিশের হাতে মার খাবার পরও পিছপা হননি। কোন জায়গা না পাওয়ায় নৌকাঘাটে তাঁরা ধর্না শুরু করেন। তাঁরা সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। কিন্তু বুধবার রাত্রে ফের পুলিশ সেখানেও হানা দেয়। রাতদুপুরেই একজন শিক্ষিকা সহ তেত্রিশজন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে পুলিশ।
এদিকে এবিটিএ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। নিন্দা জানানো হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টীর শিক্ষক সেল থেকে।
ভারতীয় জনতা পার্টীর শিক্ষক সেলের ইনচার্জ অনিল কুমার মাইতি শিক্ষকদের ওপর বিনা প্ররোচনায় পুলিশের বর্বোচিত আক্রমনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন শিক্ষকদের দাবী সম্পুর্ন ন্যায়সঙ্গত।
বৃত্তিমুলক শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে যে দাবীগুলি সরকারের কাছে ছাইছেন তা হল শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো ঠিক করা হোক। বৃত্তিমূলক বিভাগে কর্মরত সকল শিক্ষক ও প্রশিক্ষকদের কাউন্সিলকে অ্যাপ্রুভ্যাল লেটার প্রদান করে স্থায়ীকরন করতে হবে। সকল কর্মীর প্রভিডেন্ট ফান্ড ও অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। এছাড়া মহিলা কর্মীদের জন্য মাতৃকালীন ছুটি হবে।
নিগৃহীত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আমাদের দাবী ন্যায়সঙ্গত এবং আমরা তা আদায় করেই ছাড়বো। এব্যাপারে সরকার পক্ষ আমাদের সঙ্গে আলোচনায় না বসলে আগামী ২০ তারিখ কালিঘাটে আমরা আমরণ অনশন শুরু করবো।