আবার হাতির হানায় ৪ বাড়ি তছনছ প্রতিবাদে বিট অফিস ঘেরাও
সংবাদদাতা, মালবাজার
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৩:৩৬ পিএম, ৭ জুলাই ২০১৯ রোববার
গরুমারা বনাঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে বাতাবাড়ি, ধুপঝোড়া ও বড়দীঘি চাবাগান। হাতি ও অন্যান্য বন্য প্রাণীর উপদ্রব এই সব এলাকায় লেগেই থাকে। শনিবার রাতেও রেহাই পেলনা বাতাবাড়ি এলাকার যোগেশ পাড়া ও ডাবরি কোনা গ্রামের মানুষ। হাতির আক্রমণে ভাঙা পড়ল ৪টি বাড়ি। প্রতিবাদে বিট অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল গ্রামের মানুষ।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, শনিবার রাত ১১টা নাগাদ গরুমারা বনাঞ্চল থেকে ৩টি হাতির একটি দল বাতাবাড়ি এলাকায় যোগেশ পাড়ায় প্রবেশ করে তান্ডব শুরু করে। শ্যামল রায় ও জগন্নাথ রায়ের বাড়ি ভেঙে তছনছ করে। আসবাবপত্র ও তৈজসপত্র ভাংচুর করে। বাড়িতে রাখা চাল, আটা, আনাজপাতি খেয়ে সাবাড় করে। এরপর সেখান থেকে চলে যায় জাকিরকোনা গ্রামে সেখানে প্রভাশ রায় ও রাহুল আলমের বাড়ি ভাংচুর করে। রাত ৩টা তান্ডব করে আবার বনে ফিরে যায়। রবিবার সকালে বনবিভাগের খড়িয়ারবন্দর বিট অফিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এলে স্থানীয়রা তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য যে ওই এলাকায় প্রতি রাতে হাতির হানায় বাড়িঘর ভাঙা পড়ছে। ফসল ও বাড়িতে রাখা খাবার খেয়ে চলে যায়। মাঝেমধ্যে মানুষ মারে। বনদপ্তরকে খবর দিলে আসে না। ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় না। স্থানীয়রা দাবী জানায় রাতে টহলদারি দিতে হবে। ক্ষতিপূরণ সময়মতো দিতে হবে। এই দাবী নিয়ে তারা বিট অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে বনদপ্তরের আশ্বাস পেয়ে ফিরে যায়। বনকর্মীরা জানান, সরকারি নিয়ম মেনে আবেদন করলে অবশ্য ক্ষতিপূরণ পাবে।