শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পেটে ক্ষিদে থাকলেও মমত্ববোধ হারায়নি শুরে পেচিয়েও মারলো না হাতি

সংবাদদাতা মালবাজার

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১২:১৪ এএম, ৩ জুলাই ২০১৯ বুধবার

হেডিংঃ পেটে ক্ষিদে থাকলেও মমত্ববোধ হারায়নি শুরে পেচিয়েও মারলো না হাতি

সংবাদদাতা, মালবাজার, ২ জুলাই

 পেটে আছে ক্ষিদে। সেই খিদের তাগিদে বন ছেরে বেরিয়ে এসে লোকালয়ে হানা দিচ্ছে বনের হাতি। বাড়িঘর, স্কুল দোকান ভেঙে খাবার খেয়ে চলে যাচ্ছে। একাজে যখনি কেউ বাধা দিচ্ছে কিম্বা আসা যাওয়ার রাস্তায় পড়ছে তাকে মারছে বনের হাতি। হাতির আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা ডুয়ার্স এলাকায় প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা। দেখা গেছে হাতি সাধারণত শিশুদের উপর আক্রমণ করে না। মঙ্গলবার ভোররাতে এরকম ঘটনা ঘটল নাগারাকাটা ব্লকের দক্ষিণ খেরকাটা গ্রামে। সোমবার শেষ রাতের দিকে ডায়না বনাঞ্চল থেকে দুটি বুনো দাতাল দক্ষিণ খেরকাটা গ্রামে ঢুকে তান্ডব শুরু করে। একটি হাতি খাবারের খোঁজে ছবিলাল রায়ের বাড়িতে হানা দেয়। বাড়ির দেওয়াল ভেঙে ঘরের ভিতরে মাথা ঢুকিয়ে দেখে একটা চৌকির উপর  ঘুমাচ্ছে ৪ বছরের শিশু কন্যা সঙ্গীতা রায় । হাতি তাকে কিছুই করেনি। শুর দিয়ে তুলে উঠানে শুইয়ে রেখে আবার ঘরে ঢুকে মজুত চাল আটা আনাজপাতি খেয়ে শুরু করে। ইতিমধ্যে মেঝেতে শুয়ে থাকা বাবা ছবিলাল ও মা লক্ষী রায় কোনক্রমে বেরিয়ে এসে উঠানে শুইয়ে রাখা মেয়েকে তুলে নিয়ে পালিয়ে বাচেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বন্যপ্রান শাখার খুনিয়া স্কোয়ার্ডের বনকর্মীরা। তারা দেখেন শিশুটি সামান্য আহত। দ্রুত তাকে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষনে রয়েছে শিশুটি। বনদপ্তর তার চিকিৎসার খরচ বহন করবে বলে জানাগেছে। 
উল্লেখ্য এর আগেও দেখাগেছে শিশুরা সামনে পড়লেও হাতি তাকে কিছুই করেনি। কিছুদিন আগে লাটাগুড়ি মহাকাল ধামের কাছে একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। সেদিনও শিশুকন্যা পেটের নিচে চলে যাওয়া সত্বেও কিছু করেনি।