সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩১   ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মালদায় বিজেপি সম্পাদক সঞ্জীত মিশ্রকে সরিয়ে নতুন বিজেপি সম্পাদক

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১২:০৩ এএম, ২ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

মালদায় বিজেপি সম্পাদক সঞ্জীত মিশ্রকে সরিয়ে নতুন বিজেপি সম্পাদক গোবিন্দ মন্ডল।

 এবারের লোকসভা ভোটে মালদা জেলায় ভালো ফল করেছে বিজেপি। মালদা জেলার দুটি আসনের মধ্যে একটিতে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়। কিন্তু লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের মাত্র এক মাস পার হতে না হতেই সরিয়ে দেওয়া হল বিজেপির মালদা জেলা সভাপতি সঞ্জীত মিশ্রকে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিজেপির রাজ্য কমিটির তরফে রাজ্যের আট জেলার দলীয় জেলা সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়।  সেই তালিকায় মালদা জেলার নাম রয়েছে। সঞ্জিত মিশ্র কে সরিয়ে দলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে গোবিন্দ মন্ডলকে। গোবিন্দ মন্ডল বিজেপির মালদা জেলা কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সঞ্জিত মিশ্রের নেতৃত্বে এবার জেলার লোকসভা ভোটে ভালো ফল করার পরেও সভাপতির দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিজেপির মালদা জেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর জুলাই মাসে সঞ্জিত মিশ্র কে দলের জেলা সভাপতি করা হয়েছিল। তারই নেতৃত্বে এবার মালদা উত্তর আসনে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। মালদা দক্ষিণ আসনে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী হারলেও, হারের ব্যবধান মাত্র আট হাজার ভোট। দলের এই সুসময়ে রবিবার বিজেপির জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সঞ্জিত মিশ্রকে। দলের রাজ্য কমিটির কার্যালয় সম্পাদকের স্বাক্ষর করা চিঠিতে রাজ্যের আট জেলার সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মালদায় সঞ্জীত মিশ্রকে সরিয়ে গোবিন্দ মন্ডলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গোবিন্দ মন্ডল এক সময় মালদা ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যেই সঞ্জিত মিশ্র কে কেন সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো তা নিয়ে দলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দলের একাংশ জানিয়েছেন, জেলা নেতৃত্তের অনেকের সাথেই সঞ্জিত মিশ্রর বনিবনা হচ্ছিল না। তাকে যখন জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সে সময় অনেক জেলা নেতা আপত্তি জানিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছিলেন। পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে সঞ্জিতবাবু এ দিন কোন মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, যা বলার সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হবে। নতুন দলীয় সভাপতি গোবিন্দবাবুর মোবাইল ফোন সুইচ অফ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।