সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩১   ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নয় দফা দাবিতে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানের ডাক দিল

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৮:৪১ পিএম, ২৭ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার

নয় দফা দাবিতে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানের ডাক দিল টোটো চালকেরা।


আগামী শুক্রবার নয় দফা দাবিতে মালদা জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানের ডাক দিল মালদা ইংলিশ বাজারের টোটো ড্রাইভাররা। তাদের দাবি গুলি হল
টোটো কিংবা ই রিক্সার শোরুমগুলিকে পরিবহন দপ্তর আদৌ ব্যবসা করার অনুমতি দিতে পারে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল টোটো ড্রাইভার এবং অপারেটরস ইউনিয়ন। একই সাথে বেআইনি টোটো বন্ধের নামে বৈধ টোটো চালকদের হেনস্থা করার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এই ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে। এইরকমই ৯ দফা দাবি নিয়ে শুক্রবার জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানের ডাক দিল ইংরেজ বাজার এর টোটো ড্রাইভাররা। ওই দিনই জেলা শাসকের হাতে ডেপুটেশন দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। এদিকে টোটো সমস্যা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ও বিধায়ক মুস্তাক আলম। আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তর টোটো ধরপাকড় শুরু করতেই রাস্তায় নেমেছে মালদা ইংরেজবাজারের টোটো চালকে রা। তাদের বক্তব্য পরিবহন দপ্তরের কিছু দুর্নীতিগ্রস্থ আধিকারিক নতুন নতুন টোটোর কারখানা খুলতে সাহায্য করছেন। ফলে প্রতিদিনই মালদা জেলায় টোটোর সংখ্যা বাড়ছে। পুরনো টোটো চালকদেরকে সমস্যায় ফেলা হচ্ছে। এই বিষয়ে টোটো চালক দের পাশে দাঁড়িয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেস। সিপিএম নেতা কৌশিক মিশ্র বলেন, রোজ লাফিয়ে লাফিয়ে টোটোর সংখ্যা বাড়ছে। পরিবহন দপ্তর এর শ্রেণীর আধিকারিক এর মদতেই এই ঘটনা ঘটছে। তার ফল ভুগতে হচ্ছে বৈধ টোটো চালক দের। সাধারণ মানুষও চরম সমস্যায় পড়ছেন। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার টোটো ড্রাইভাররা জেলা শাসকের দপ্তর এর সামনে বিক্ষোভ দেখাবে। জেলাশাসককে ডেপুটেশন দেবে। কংগ্রেস নেতা মোস্তাক আলম বলেন, ডি এম কে বলেছি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে। তা না হলে টোটো নিয়ে মারাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে। মানুষের ক্ষোভ যে কোন মুহূর্তে আছড়ে পড়তে পারে। অতিরিক্ত জেলা শাসক পালদেন শেরপা বলেন টোটো চালকরা আমাদের কাছে এসেছিল। ওরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। শনিবার পুলিশ ও প্রশাসন টোটো নিয়ে জরুরি বৈঠক করবে। টোটো চালক দের প্রস্তাবগুলি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। তবে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেন নি আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক তপন মল্লিক। তার ভূমিকা নিয়েও বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।