সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩১   ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলঢাকার জলে ভেসে মৃত্যু ঘটল এক অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী হাতির

পুষ্পপ্রভাত ডেক্স

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১১:৪৫ পিএম, ২৫ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার

 জলঢাকার জলে ভেসে মৃত্যু ঘটল এক অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী হাতির। 
সংবাদদাতা, মালবাজার, ২৫ জুন

সোমবার রাতে ভারত ভূটান সীমান্ত এলাকায় প্রবল বর্ষন হয়। জলচ্ছাস ঘটে প্রতিটি নদীতে। প্রবল জলস্রোতে ভেঙে যায় রাস্তা। ভেসে যায় ঘর ও আবাদি এলাকা। এই রকম ভাবে জলঢাকা নদীর জলে ভেসে মৃত্যু ঘটল এক অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী হাতির। মঙ্গলবার সকালে সেই হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয় ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে নাকটানি বাড়ি এলাকায়। বন ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, সোমবার রাতের বৃষ্টিতে জলঢাকা নদীর জল বেড়ে যায়। প্রবল জলস্রোত বইতে থাকে। সম্ভবত সেই সময় কোন হাতির দল নদী পারাপার করছিল। সেই দলে থাকা ওই অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী হাতিটি বেকায়দায় পড়ে জলে ভেসে যায়। সকালে নাকটানিবাড়ি এলাকায় নদীর অল্প জলে হাতিটিকে পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বনকর্মীরা হাতিটিকে উদ্ধার করে। বনকর্মীরা জানায়, হাতিটি অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী হাতি। 
উত্তর বঙ্গের বিশিষ্ট পরিবেশ প্রেমী তথা বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অনিমেষ বসু বলেন, হাতি জন্ম সাতারু হলেও অনেক সময় প্রতিকুল পরিবেশে পড়ে এরকম ঘটনা ঘটে যায়। সোমবার প্রবল বর্ষন চলছিল। জলঢাকা নদী প্রবল জলস্রোত বইছিল। জলঢাকা পাহাড়ি নদী। বর্ষায় তার উদ্দাম বেগে স্রোত থাকে। নদীতে এবড়োখেবড়ো পাথর থাকে। সেই পাথরে অনেক বেকায়দায় পড়ে যায়। সেটা মোকাবিলা করে উঠতে না পারলে এরকম দুর্ঘটনা ঘটে। যেমন দক্ষ সাতারু অনেক সময়  প্রতিকুল পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করতে পারেনা। হাতিরও একই পরিস্থিতি হলে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। 
স্থানীয় লোকজন হাতিটি গরুমারা বনাঞ্চলের উজান এলাকা থেকে ভেসে এসেছে।