শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এক রাতের প্রবল বর্ষনে ভাসল ডুয়ার্সের নানান প্রান্ত

পুষ্পপ্রভাত ডেক্স

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১১:১০ পিএম, ২৫ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার

 এক রাতের প্রবল বর্ষনে ভাসল ডুয়ার্সের নানান প্রান্ত। 
সংবাদদাতা, মালবাজার, ২৫ জুন। সোমবার রাতের প্রবল বর্ষনে ভাসল ডুয়ার্সের নাগরাকাটা মেটেলি ও মাল ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে। 
সোমবার সন্ধ্যা থেকে ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লক সংলগ্ন ভারত ভূটান সীমান্ত এলাকায় প্রবল বর্ষন শুরু হয়।বৃষ্টি হয় আশেপাশের চাবাগান এলাকায়। প্রবল বর্ষনের সেই বারিধারা অবাদ গতিতে নেমে আসে ডায়না, কুচি ডায়না, সহ অন্যান্য নদী দিয়ে। ফুলে ফেঁপে ওঠে নদী নালা সহ বিভিন্ন ঝোড়া।কুচিডায়নার প্রবল জলস্রোতে লুকসান এলাকার নদীর আশেপাশের বাড়িঘর জলমগ্ন হয়। ভেসে যায় নদীর পাড়ের হাসমুরগীর ঘর। নদীর জলে ভেসে যায় বহু হাঁসমুরগী। নাগরাকাটায় মনমোহন ঝোড়ার প্রবল জলচ্ছাসে মনমোহন ধুরা শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটির খানিক অংশ তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় গ্রামে ঢোকার একমাত্র কালভার্টটি। প্রবল জলচ্ছাসে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায় নাগরাকাটা থেকে ছাড়টন্ডু গামী গ্রামীণ সরক যোজনার প্রায় ৬০ মিটার রাস্তা। ছাড়টন্ডুর সাথে নাগরাকাটা এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যোগাযোগ হীন হয়ে পড়ে প্রায় হাজার ছয়েক মানুষ। দুটি বাড়ি ধসে পড়ে। 
বানারহাট এলাকার হাতি নালার জলে জলমগ্ন হয় বেশ কিছু এলাকা। ডায়নার জলচ্ছাসে আংরাভাসা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নদী বাধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 
মেটেলি ব্লকে নেওর নদীর জলের ধাক্কায় মাথাচুলকা এলাকায় নদী বাধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।মাল ব্লকে তিস্তার জলে চাঁপাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ খানিক অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকাল ৯ টার পর থেকে বৃষ্টি থামলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। প্রশাসন থেকে জানাগেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সব দিকে নজর রাখা হয়েছে।