শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্কুলেই শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে বচসা হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুলে

মোহঃ নাজিম আক্তার

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৯:৫৮ পিএম, ২৫ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার

হরিশ্চন্দ্রপুর24শে জুন:

শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে বচসায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুলে। ঘটনায় আহত হয়েছেন শিক্ষক ও ছাত্র দু’জনেই। দু'জনেই হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদিকে একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষক ও ছাত্র। যদিও এই মারপিটের ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু নাকি কোন এক ছাত্রী, এমনই অভিযোগ আক্রান্ত ছাত্রের। যদিও আক্রান্ত শিক্ষকের পালটা অভিযোগ, অনিয়মিত ক্লাস করার কথা বলায় অন্যায়ভাবে ওই ছাত্র এদিন তার ওপর হামলা চালিয়েছে। অভিযুক্ত ছাত্র মিথ্যা কথা বলছে।যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক ও ছাত্র একে অপরের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নালিশ জানানোর কথাও জানিয়েছেন।

 

এদিকে পুরো বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হরিশচন্দ্রপুর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ জানিয়েছেন, “যেভাবে স্কুলের এক শিক্ষককে মারধর করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করছি। খুব ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছে। তবে কী নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত তা অবশ্য জানতে পারিনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ওই ছাত্রের নাম মুকেশ শর্মা (১৮)। সে হরিশচন্দ্রপুর হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। অপরদিকে আক্রান্ত শিক্ষকের নাম জিতেন পাল (৩৪)। তিনি ওই স্কুলের পদার্থবিদ্যার পার্টটাইম শিক্ষক। এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ ছাত্র-শিক্ষকের গোলমালের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় স্কুলে।

 

ছাত্র মুকেশ শর্মার অভিযোগ, ওই শিক্ষকের কাছে সে এবং তার এক সহপাঠী বান্ধবী টিউশনি পড়ত। কিন্তু ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে শিক্ষক সব সময় আজে বাজে কথা বলতো। বেশিরভাগ সময় তাকে মোবাইলে ফোন করে ওই ছাত্রীর সম্পর্কে নিন্দা করত। যাতে তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কে চিড় ধরে। শিক্ষকের এসব কথা ওই ছাত্র তার মোবাইলে রেকর্ডও করে রাখে। এছাড়াও ক্লাসের রোল কলের সময়ও তাকে ডাকা হতো না বলে অভিযোগ মুকেশ শর্মার। এই নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ।

যদিও ওই ছাত্রের সব কথাই মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত শিক্ষক জিতেন পাল। তিনি বলেন, ওই ছাত্র চেইন দিয়ে তাকে মারধর করেছে। তার ঠোঁটে একটি সেলাই পড়েছে। শরীরে আঘাত করেছে। তবে যেসব কথা বলা হয়েছে তা সবই বানানো। কারণ , স্কুলের অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা তাকে যথেষ্ট সম্মান করে‌। কেউ এরকম কথা বলতে পারবে না। কিন্তু ওই ছাত্র নিয়মিত স্কুলে আসতো না। ক্লাস করতো না। এসব নিয়ে তাকে বলতেই তার উপর হামলা চালায় ওই ছাত্র। একজন শিক্ষককে সকলের সামনে যেভাবে হেনস্তা এবং মারধর করা হয়েছে তা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।

 

বচসার মূল কারণ কি তা জানতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে ।হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জিব কুমার বিশ্বাস বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে, বচসার সত্যতা যাচাই করেই দোষীর আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।