সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩১   ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সরকারি সাহায্যে নতুন আম বাগান তৈরির করা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কর

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০১:৫০ এএম, ২৫ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার

সরকারি সাহায্যে নতুন আম বাগান তৈরির করা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কর্মশালার

হক জাফর ইমাম। মালদা।
 আধুনিক পদ্ধতিতে পুরনো আমগাছ কেটে সরকারি সাহায্য নতুন আম বাগান তৈরি করা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। মালদা ইংরেজবাজার রেগুলেটেড মার্কেট এর সভাকক্ষে আম চাষীদের নিয়ে একটি প্রশাসনিক কর্মশালার আয়েজন করা হয়।সোমবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ, প্রশাসনিক কর্মশালা শুরু হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য, উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক রাহুল চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের বৈজ্ঞানিক ড: দীপক নায়েক, মালদা ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জল সাহা,সম্পাদক উজ্জল চৌধুরি সহ অন্যান্য আধিকারিক ও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আম চাষীরা।আম চাষিরা কিভাবে লাভের মুখ দেখতে পাবেন তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয় এই কর্মশালায়। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আম চাষীদের সাহায্য করা এবং পুরনো গাছ কেটে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নতুন করে সেই বাগান তৈরি করা। সমস্ত বিষয় প্রজেক্টরের মাধ্যমে আমচাষীদের বোঝানো হয় এই কর্মশালায়।
 জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমকে জানান, আম চাষীদের বিভিন্ন বিষয় বোঝানো হয় এই কর্মশালায়। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আম চাষ এবং বাজারে নিষিদ্ধ কার্বাইড যাতে ব্যবহার না করে আম চাষিরা, সেগুলো আলোচনা করা হয় সেখানে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, সরকারি সাহায্য করা হবে আম চাষিদের। বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে সেই প্রকল্প অনুযায়ী সাহায্য দেয়া হবে তাদের। 
কর্মশালা শেষে মালদা ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জল সাহা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যদি বাগান তৈরি করা যায় তাহলে পরিবেশের সাথে আম চাষিরা লাভের মুখ দেখবে।  সরকারি সাহায্য করে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আমচাষীদের সাহায্য করার আবেদন করেন তিনি। তবে পুরনো গাছ কেটে নতুন বাগান তৈরি করার প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে উপকৃত হবে আম চাষীরা। 
উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক রাহুল চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এখন চাষ করলে অল্প খরচে বেশি মুনাফা দেখতে পাবে চাষিরা। তাই সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বীজ দেওয়া এবং বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য করা হচ্ছে চাষীদের।