শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিশ্ববিদ্যালয়ের টপার বীরভূমের গোলাপশা খাতুন

খান আরশাদ, বীরভূম

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৪:৩৯ পিএম, ২১ জুন ২০১৯ শুক্রবার

বাবা নজরুলের সাথে গোলাপশা। ইনসেটে প্রাপ্ত স্বর্ণপদক

বাবা নজরুলের সাথে গোলাপশা। ইনসেটে প্রাপ্ত স্বর্ণপদক

 

 

   

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের টপার হয়ে বীরভূমের মুখ উজ্জ্বল করলেন গোলাপশা খাতুন। এবছরের স্নাতকোত্তরে মানবী-বিদ্যা বিষয়ের পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। বৃহস্পতিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গোলাপশার এই কৃতিত্বের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গোলাপশার হাতে শংসাপত্র ও স্বর্ণপদক তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিমাই চন্দ্র সাহা। বীরভূমের রাজনগর থানার রানীগ্রামের নজরুল শেখের মেয়ে গোলাপশা রাজনগর উচ্চ বিদ্যালয় ও সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজে পড়াশোনার পর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্রে এম.এ করেছেন এবং ডাবল এম.এ করার লক্ষে উইমেন্স স্টাডি অর্থাৎ মানবী বিদ্যা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন এবং মানবী  বিদ্যা বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান পান।  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এম.ফিলও করছেন। এখন তিনি একটি কলেজে অধ্যাপনাও করছেন। গোলাপশা জানান প্রথম স্থান পাওয়ায় তিনি স্বাভাবতঃই খুবই খুশী। তিনি ভবিষ্যতে নিজেকে অধ্যাপিকা হিসেবে পেশায় নিয়োজিত করতে চান।  গোলাপশা জানান তার এই কৃতিত্বের পিছনে তার বাবার অবদানই সবচেয়ে বেশী। তার বাবা সেখ নজরুল পেশায় একজন ইলেক্ট্রনিক্স ব্যাবসায়ী। মেয়ের এই কৃতিত্বে তিনি গর্ব অনুভব করেই বললেন প্রত্যেক মা-বাবারই ইচ্ছে থাকে নিজের সন্তানকে একজন কৃতি সন্তান হিসেবে দেখতে। আমিও যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে গেছি এব্যাপারে। মেয়ের পড়াশোনার ক্ষেত্রে যাবতীয় প্রয়োজন আমি মেটাবার চেষ্টা করেছি। আমার চেষ্টা যে বিফল হয়নি তা আমার মেয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে। তার সাফল্যই আমাদের সাফল্য। সমাজের বুকে সে মাথা উঁচু করে চলুক এই কামনা করি। নজরুলের সাথে সাথে এলাকাবাসীও গোলাপশার এই কৃতিত্বে গর্বিত।