সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩১   ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দুর্ঘটনার আটদিন কেটে গেলেও জ্ঞান ফিরেনি মুকতারি বিবির

পুষ্পপ্রভাত ডেক্স

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১২:৫২ এএম, ২০ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার

দুর্ঘটনার আটদিন কেটে গেলেও জ্ঞান ফিরেনি মুকতারি বিবির 

দুর্ঘটনার আটদিন কেটে গেছে অথচ জ্ঞান ফিরেনি মুকতারি বিবির।গত মঙ্গলবার সাড়ে এগারোটার সময় হরিশ্চন্দ্রপুর বিদ্যুৎ দপ্তরে বিল দিতে যাওয়ার সময় ৮১ নং জাতীয় সড়কে সাইকেলের সঙ্গে বাইকের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন মুকতারি  বিবি।তার বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সুলতাননগর জিপির  বজনাথপুর গ্রামে ।

সাইকেল আরোহী নাজির হুসেন জানান, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটার সময় বৌদি মুকতারি বিবিকে সাইকেলে করে হরিশ্চন্দ্রপুর বিদ্যুৎ দপ্তরে বিল দিতে নিয়ে যাওয়ার পথে হরিশ্চন্দ্রপুর 81নংজাতীয় সড়কে তুলসীহাটা থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর গামি এক বাইক আরোহী ইরসাদুল  হক রাজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাইকেলের পিছন দিকে ধাক্কা মারলে সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান নাজির হুসেন ও মুকতারি বিবি । মাথা,কান ও নাক ফেটে রক্ত ঝড়তে শুরু করে মুকতারি বিবির।গুরুতর অবস্থা দেখে  ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পিপলা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রী। সাইকেল আরোহী নাজির হুসেন ও পাঁচ ছাত্রীর সহযোগিতায় ভুটভুটিতে করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যান ।আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেখে ডাক্তারবাবুরা চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর  করে দেন ।সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় কাটিহার মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে ।তারপর সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় কলকাতা পিজিতে।ডাক্তারদের কর্মবিরতির কারণে সেদিন হাসপাতাল বন্ধ থাকার কারনে বাধ্যতামূলক কলকাতা এক বেসরকারি  নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় ।নার্সিংহোমে দুই দিন এক রাত থাকার পর অত্যধিক খরচ বহন করতে না পারায় দালকোলা এক বেসরকারী নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয় ।বর্তমানে এখানেই তার চিকিৎসা চলছে ।

মুকতারি বিবির স্বামী আইনাল হক জানান, সে খুব গরীব মানুষ , নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর দশা তার।তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে মোট ছয় জনের অভাবের সংসার।একটা ঘরে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে কোনো রকম দিন গুজরান । পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে তাকে ভিন রাজ্যে কাজ করতে হয়।স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ বহন করতে না পারায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে সে।ইতিমধ্যে Ambulance ভাড়া  ও নার্সিংহোমে খরচ হয়ে গেছে  দেড় লক্ষ টাকার বেশি ।সুদে ধার করে চালাচ্ছে চিকিৎসার খরচ ।অথচ বাইক আরোহী ইরসাদুল হক রাজি তাদেরকে তো হাসপাতালে  পৌঁছায়নি, চিকিৎসার জন্য কোনো খরচ দেয়নি, রুগীটি কি অবস্থায় আছে তাও একবারও খবর নেইনি।মুকতারি বিবি এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে  মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ।

পুলিস সূত্রে খবর, বাইক আরোহীর নাম  ইরসাদুল হক রাজি ।বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর- ১ নং ব্লকের  চন্ডিপুর গ্রামে।এখন সে পলাতক  অবস্থায় রয়েছে ।তার বাইকটি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় আছে ।