শশুর ও কাকা শশুরকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধ
হক নাসরিন বানু
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ১৮ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার
শশুর ও কাকা শশুরকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে।
শশুর ও কাকা শশুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল জামাইয়ের বিরুদ্ধে ।
ঘটনায় অভিযুক্ত জামাই কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনায় মালদা মোথাবাড়ি কমলপুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে ধৃত জামাই এর নাম ইনজামামুল হক। আহত শশুর ও কাকা শশুর আব্দুল জব্বার ও জিয়াউল হক বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজে এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মালদা রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবতীপুর গ্রামের মেয়ে আমিনুর খাতুন পার্শ্ববর্তী গ্রামের বেলতলা গ্রামের ছেলে ইনজামাম-উল-হক কে প্রেম করে বিয়ে করে। এই বিয়ের কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ বাধে। এবং ছেলের প্রেম করে বিয়ে করলেও ছেলের পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে বধূ নির্যাতন ও দাবিতে অত্যাচার করত । মেয়ে আমিনুর খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়ের বাবা মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসে এরপর মেয়ে ইনজামামুল হকের বিরুদ্ধে একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করে। এতেই খেপে যায় ইনজামুল হক সোমবার সকালে মত্ত অবস্থায় এসে শ্বশুরবাড়ি এসে শ্বশুর আব্দুল জব্বার ও জিয়াউল হকের সঙ্গে এই বিষয়টা নিয়ে ঝামেলা বাধায়। এবং সরাসরি হাঁসুয়ার কোপ মারে ।শশুর ও কাকা শশুর জামাইয়ের হাসুয়ার কোপে আহত হয়ে লুটিয়ে পরে। এর পর গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায় ।গোটা গ্রাম বাসি সহ এলাকায় ছুটে আসে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সায়েদ আলী হাসিমুদ্দিন আহমেদ ও মির জামিল।পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে গ্রাম বাসীরা
ধরে ফেলে আসামি কে । গণরোষে সৃষ্টি হয় ।এবং উত্তেজনা ছড়ায়। পঞ্চায়েত সদস্য সায়েদ আলী পুলিশে খবর খবর দেয় এবং অপরাধী কে পুলিশের হাতে তুলে ধরেন তুলে দেন। গোটা ঘটনায় মেয়ের মা মোথাবাড়ি থানায় জামাই ও জামাই এর পরিবারের তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। জামাই গ্রেপ্তার হলেও অন্যান্য অভিযুক্তরা বাড়ি থেকে পলাতক বলে জানা গেছে।