শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রথবাড়ির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মার্চেন্টের স

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৪:১৩ পিএম, ১৩ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার

মালদা

মালদা: অভিযোগের বন্যা। ফের কাঠগড়ায় মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু। টোকেন কেলেঙ্কারি, তোলাবাজির পর এবার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। মালদা ইস্ট রথবাড়ি ফ্লাইওভার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ব্যবসায়ীদের ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্স এর বর্তমান সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডুর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন সংগঠনের ব্যবসায়ীরা। এই মর্মে সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মালদার চেম্বার অব কমার্সে। মালদা ইস্ট রথবাড়ি ফ্লাইওভার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে, মার্কেট তৈরি করার সময় চেম্বার সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু নির্দেশ মোতাবেক

তার নিজস্ব দোকানে গিয়ে

 ৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা তাকে দেওয়া হয়। কিন্তু উক্ত টাকা এখনো পর্যন্ত জয়ন্ত কুন্ডু পি ডব্লিউ ডি তে জমা করেননি। যার দরুন ফ্লাইওভারের নিচের ঘরগুলি লিজ এগ্রিমেন্টের রেন্ট নিয়মিত জমা পড়ছে না। জয়ন্ত কুন্ডু মহাশয় কে বারবার বলা সত্ত্বেও সেই টাকা পি ডব্লিউ ডি তে জমা করেনি। এমনকি তাদের সেই কথাই তিনি কোন কর্ণপাত ই করেনি বলে অভিযোগ। তাই রথবাড়ি ফ্লাইওভার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে আন্দোলন সংগঠিত করা হয়েছে। জয়ন্ত কুন্ডু এর বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী অমল দাস অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা ফ্লাইওভারের নিচে ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদেরকে কোনো নথি পত্র দেওয়া হচ্ছে না। নথিপত্র পাওয়ার জন্য তারা পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার টাকা জয়ন্ত কুন্ডু র হাতে দিয়েছেন। কিন্তু সেই টাকা তিনি পি ডব্লিউ ডি তে জমা না করে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ী অমল দাস ও ছোটন কুন্ডুরা।

 সংগঠনের সভাপতি তপন রায় কণ্ঠে একই অভিযোগ। বর্তমান সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু অবিলম্বে সেই অর্থ তাদেরকে অথবা পি ডব্লিউ ডি তে জমা না করলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে হুমকি দিয়েছেন।

ব্যবসায়ী অনিমেষ চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, রথবাড়ি ফ্লাইওভারের নিচে প্রায় ১১০ জন ব্যবসায়ীর রয়েছে। দোকান ঘর তৈরি হওয়ার পর থেকেই তারা ব্যবসা করে আসছেন। ঘর গুলির রেন্ট পরিশোধ করার জন্য ব্যবসায়ীরা সশরীরে ৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা তার দোকানে গিয়ে জমা করেন। কয়েক মাস হয়ে গেল কিন্তু সেই কাগজপত্র তাদের দেওয়া হচ্ছে না। বারবার বলা সত্ত্বেও এ বিষয়ে তিনি কর্ণপাত করছেন না। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাদের এই দাবি পূরণ না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।

বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম অভিযোগের কাটগড়ায় থাকা মার্চেন্ট সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডুর সাথে। কিন্তু তিনি ক্যামেরার সামনে কিছুই বলতে চাননি। সমস্ত বিষয়টি কে এড়িয়ে গেছেন। 

এই নিয়ে আবারো ব্যবসায়ী মহলে তীব্র ক্ষোভ ও চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।