টোকেন কেলেঙ্কারির পর তোলাবাজির অভিযোগ, বণিকসভার সম্পাদকের দিকে
হক নাসরিন বানু
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১১:২৩ পিএম, ৮ জুন ২০১৯ শনিবার
মালদা
টোকেন কেলেঙ্কারির পর এবার রেগুলেটেড মার্কেটে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল বণিকসভার সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ জয়ন্ত কুন্ডু রেগুলেটেড মার্কেটের ফড়ে কমিশন এজেন্ট দের একাংশ এবং নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির এক কর্মচারীকে হাতে করে ট্রাক পারকিং এর নামে কৃষক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা আদায় করছে। ছোট-বড় প্রতি ট্রাক পিছু ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা করে নিচ্ছে। যা সরকারি খাতে জমা পড়ছে না। এই টাকার সরকারি কোনো হিসাব নাই। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই টাকার অংশীদারি কারা?পার্কিংয়ের টাকা দিতে অস্বীকার করলেও মিলছে মার্কেট ছাড়া করার হুমকি। ফলস্বরূপ এইসব ব্যবসায়ীদের মাঝে মাঝেই আরএমসি কর্তৃপক্ষর সহযোগিতায় জিসিপি দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে দোকানপাট।প্রসঙ্গত আরএমসি চত্বরের নতুন নতুন দোকান তৈরি করে ও অব্যবসায়ীদের মধ্যে চলছে বিলিবন্টন অথচ সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বঞ্চিত করা হচ্ছে এই সমস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কৃষিপণ্য ব্যবসায়ীদের। যারা সরকারি কৃষক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। মার্কেট ছাড়া তাদের দেওয়া হুমকি মিলছে মুহূর্ত মুহূর্ত। তাদের সাথে জড়িত রয়েছে কিছু স্থানীয় বাহুবলীরা। শুক্রবার এমনই অভিযোগ তুলেছে মালদা প্রগ্রেসিভ ভেজিটেবল বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।তারা আরো অভিযোগ তুলে বলেন চেম্বারের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু ও তার একান্ত অনুগামীরা মার্কেট পার্কিং লট ফাকা করার নামে আমাদের পেটে মারার চেষ্টা করছে।২০১৬ সালের রাজ্য সরকার আমাদের পুর্নবাসনের নির্দেশ জারি করেছে। কিন্তু জয়ন্ত কুন্ডু মার্কেট কমিটিকে হাতে করে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে পুর্নবাসনের বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।এ নিয়ে আমরা একাধিকবার জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে রেগুলেটেড মার্কেট সমিতি এবং বণিক সভাকে চিঠি করেছি। কিন্তু আমাদের প্রতি কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়াই আন্দোলনের পথে যাচ্ছি। মালদা প্রগ্রেসিভ ভেজিটেবল বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তরুণ ঘোষ বলেন, আমরা আগে মালদা রথবাড়ি বাজারে ব্যবসা করতাম। সেখান থেকে আমাদের তুলে আনা হয় রেগুলেটেড মার্কেটে ব্যবসা করার জন্য।রেগুলেটেড মার্কেট সমিতি ও চেম্বার অফ কমার্স আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আমাদের রেগুলেটেড মার্কেটে আসলে পূর্ণবাসন করে দেওয়া হবে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করলাম আলুর ফাঁড়ে থেকে শুরু করে বিভিন্ন ও অব্যবসায়ীদের বড় বড় ঘর দিয়েদিল অথচ আমাদের জন্য কিছুকরলোনা। আমরা ডেপুটেশন দিয়েছিলাম চেম্বার এবং জেলাশাসককে। চিঠি দিয়েছিলাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে।২০১৬ সালের সেই চিঠির জবাবে রাজ্য সরকার আমাদের পুর্নবাসনের নির্দেশ দেয় সমিতিকে। কিন্তু টালবাহানা করতে থাকে মালদা বণিক সভা। মার্চেন্টের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু কমিশন এজেন্ট দের একাংশ ও আর এম সি কর্মচারীকে হাতে করে আমাদের এখান থেকে উচ্ছেদ করতে চাইছেন। আমাদের পার্কিং জোন থেকে সরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এতে সরকারের কি লাভ? পার্কিং লটের টাকা খাচ্ছে বাজার সমিতির লোকজন এবং চেম্বারে সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু। এখানে মস্তানী রাজ কায়েম করেছে জয়ন্ত কুন্ডু। আমাদের পূর্ণবাসনের জন্য আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হয়েছি। একই বক্তব্য সংগঠনটির সভাপতি ধনঞ্জয় মন্ডলের।এদিকে এ নিয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি মালদার মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডুর। তার বক্তব্য যা বলার চেম্বারে সভাই বলবো। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আবার ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে মালদা জেলা সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে।