শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঈদের মাত্র আর একটি দিনের প্রতীক্ষা

হক জাফর ইমাম

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৭:৩৪ পিএম, ৩ জুন ২০১৯ সোমবার

মালদাঃ

ঈদের মাত্র আর একটি দিনের প্রতীক্ষা৷ একমাস রমজানের রোজা রাখার পর খুশির ঈদের আনন্দে মেতে উঠবেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ৷ এই জেলার ইতিহাস অবশ্য জানান দেয়, শুধু মুসলমানরাই নয়, এখানে তাদের সঙ্গে মেতে ওঠে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও৷ ইদ বললে চোখের সামনে লোভনীয় লাচ্ছা, সিমুই যেমন ভেসে ওঠে, তেমনই নাক খুঁজে বেড়ায় আতরের মিষ্টি সুগন্ধ৷ খস, গুলাব, জেসমিন, হরেক আতর সহজলভ্য বছরের ঠিক এই সময়ই৷ বিশেষত মালদা শহরের বিভিন্ন বাজারে এই সময় জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে পসরা সাজান বিক্রেতারা৷ কিন্তু সেই আতর কিংবা লাচ্ছা বিক্রেতাদের এখন বড়োই দুর্দিন৷ কারণ, বাজার এখন শহরের সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়েছে গ্রামেও৷ 
    আজ মালদা শহরের চিত্তরঞ্জন পৌরবাজারের লাচ্ছা ও আতর বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিজেদের ব্যবসায় তাঁরা প্রত্যেকেই গ্রামের ক্রেতাদের উপর বেশি নির্ভরশীল৷ কিন্তু এবছর গ্রাম থেকে শহরে আসা ক্রেতার সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে৷ তাঁরা সকলেই জানাচ্ছেন, এখন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরেও ইদের জমজমাট বাজার বসে যাচ্ছে৷ সেই সব বাজারে বিভিন্ন ধরনের লাচ্ছা, সিমুই থেকে শুরু করে নানা ধরনের আতর, সবই পাওয়া যাচ্ছে৷ দামও মোটামুটি একই৷ এবছর শহরের বাজারে বিভিন্ন ধরনের লাচ্ছার দাম ১২০ থেকে ২২০ টাকা৷ একই দামে একই লাচ্ছা পাওয়া যাচ্ছে গ্রামেও৷ ফলে গ্রামের মানুষজন এখন আর খুব একটা শহরে আসছেন না৷
    এদিকে গত ১৫ থেকে ২৫ বছর ধরে মানিকচকের আতর বিক্রেতারা শহরে নিজেদের আতরের পসরা নিয়ে আসেন৷ এবারও তাঁদের দুজন চিত্তরঞ্জন পৌরবাজারে নিজেদের সুগন্ধের সম্ভার নিয়ে এসেছেন৷ কিন্তু এবার তাঁদের ব্যবসাও বিশেষ জমেনি৷ কারণটা একই৷ গ্রামেই চলে গেছে বাজার৷ তবুও তাঁরা আশাবাদী, আগামী দুদিনে হয়তো পরিস্থিতির বদল হতে পারে৷ ইদের শহরে উঠে আসতে পারে গ্রামের মানুষজন এটাই ভরসা৷