শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চাঁচলে জমজমাট ঈদের বাজার,ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

উজির আলি

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৩:৫৬ পিএম, ৩ জুন ২০১৯ সোমবার

চাঁচল : মুসলিম সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র একদিন বাকি। ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছে ক্রেতারা তাই চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। ফলে পুরো চাঁচল শহর জুড়ে পরিণত হয়েছে ঈদের বাজারে।

ফুটপাত থেকে শুরু করে বৈশাখী মার্কেট,নিরুপমা মার্কেট,পাবলিক বস্ত্রালয়,আবরনী, মুকুল ষ্টোর্স, ফ্যানসী বস্ত্রালয়,সুমন,ফ্যাশান,জিনস পয়েন্ট,সুপার কালেকশনে সর্বত্র মানুষের উপচে পড়া ভিড়। তবে এবছরে নজরকাড়া ক্রেতাদের ভিড় চাঁচলের সর্বপ্রথম নতুন শপিং মহল ষ্টাইল বাজারে।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে হরদম বেচাকেনা। ফলে দোকানিদের চোখে ঘুম নেই। অতিরিক্ত ক্রেতা সামলাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন রমজানের শেষের দিকে চাকরিজীবীরা বেতন-বোনাস পাওয়ায় ক্রেতাদের ভিড় আরও বেড়ে গেছে।

দশম রমজান থেকে থানকাপড় ও আনস্টিচ থ্রিপিছের দোকানে ভিড় জমলেও রেডিমেড কাপড়ের দোকানগুলোতে পুরোদমে কেনাকাটা শুরু হয়েছে এ সপ্তাহ থেকেই।
হরদম কেনাকাটা চলছে মুনিহারী দোকানেও।
সোমবার চাঁচলের বেশ কয়েকটি মাকের্ট ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতার ভিড়। শহরের প্রধান প্রধান সবগুলো মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মানুষের ঢল ছিল। তবে কেনাকাটায় ব্যবসায়ী
পরিবারগুলো আসতে শুরু করেছে। ঈদের কেনাকাটায় ছুটে আসছে গ্রামাঞ্চলের গ্রাহকরাও। তাই ক্ষুদ্র যানবাহন গুলিরও আয় বৃদ্ধি বেড়েছে বলে খবর। এদিকে চাঁচল দৈনিক বাজার লাগোয়া পথে বসেছেন লাচ্ছা সেমুই বিক্রেতারাও। তাই সর্বশেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের মুখ মিষ্টান্নের জন্যে হরদম রকমারি সেমুই,খুরমা বিক্রিত হচ্ছে বলে খবর।
বন্ধ নেই লেডিজ ও জেন্টস পার্লারও। একে একে লাইন রেখে অপেক্ষা করছেন নিজের সৌন্দর্যের জন্যে।
এদিকে  প্রতিবছরের মতো ছুটে এসেছে মিনাবাজার। তবে এবছর চাঁচল কলমবাগানের পরিবর্তে বিধানসরণী( কাঠমিলের বিপরীতে ) বসেছে মিনাবাজার। কমিটি সূত্রে জানা যায়,ঈদের দিনই শুভ আরম্ভ এই মেলার।