সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খাসোগি হত্যায় সৌদিকে সরাসরি দোষারোপ এরদোগানের

জাগরণ ডেস্ক

দৈনিক জাগরণ

প্রকাশিত : ১২:৪১ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০১৮ শনিবার

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় এই প্রথমবারের মতো সরাসরি সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।  যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার একটি নিবন্ধে এরদোগান।লিখেছেন- সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে খাসোগিকে হত্যা করার নির্দেশ এসেছে বলে আমরা জেনেছি।

তবে তুরস্কের সাথে সৌদি আরবের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষযয়টিতে গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় বাদশাহ সালমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না।

২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে হত্যা করা হয় জামাল খাসোগিকে।

তুরস্কের তদন্তকারীদের ধারণা, তুরস্কের একজন নাগরিকের সাথে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে সৌদি দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে গেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় স্বেচ্ছায় দেশান্তরিত থাকা সাংবাদিক খাসোগিকে।তবে এখনও তাঁর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি।  দূতাবাসের ভেতরেই খাসোগি মারা গেছেন বলে সৌদি সরকার স্বীকার করলেও তাঁর লাশ কোথায় এ প্রশ্নের জবাব বরাবরই এড়িয়ে গিয়েছে তারা।

প্রেসিডেন্ট এরদোগানের দলের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, তাঁর ধারণা খাসোগির মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে এসিডে গলিয়ে ফেলা হয়েছে।

শুরুতে এই হত্যার দায় স্বীকার না করায় এরইমধ্যে সৌদি আরবের সাথে তাদের মিত্র দেশগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করেছে।

যদিও পরবর্তীতে এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজন ১৮ জনকে আটক করে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।  তুরস্ক চায় এই ১৮ জনকে যেন তাদের হাতে প্রত্যর্পণ করা হয়।

ওয়াশিংটন পোস্টে এরদোগান আরো লিখেছেন, সৌদি আরবে আটক হওয়া ১৮ জনের মধ্যেই খাসোগির হত্যাকারীরা রয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত।  এবং আমরা এও জানি যে তারা শুধু একটি নির্দেশ পালন করছিল।  এবং খাসোগিকে হত্যা করার এই নির্দেশটি যে সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এসেছে সে বিষয়েও আমরা নিশ্চিত।

এরদোগান বললেন- ন্যাটো জোটভুক্ত কোনো দেশের মাটিতে এই ধরণের অপরাধ সংঘটিত করার সাহস যেন আর কখনো কেউ না পায়।  হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও কেউ যদি এ ধরণের কাজ করে থাকে, তাহলে তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। 

খাসোগি আসলে কে?

একসময় সৌদি রাজপরিবারের উপদেষ্টা ছিলেন জামাল খাসোগি।  গত বছর দেশটির সরকারের সাথে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয় এবং তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় সৌদি সরকার, বিশেষ করে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সমালোচনা করে নিয়মিত কলাম লিখতেন খাসোগি।  যা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান খুব একটা ভালোভাবে নেননি।  সূত্র:বিবিসি