রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুসলিম গর্ববতি মহিলাকে রক্ত দিয়ে সম্প্রীতির নজির গড়লেন ভিআরপি

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১০:৫৯ পিএম, ১ জুন ২০১৯ শনিবার

এম.এস.আলম,ধুলিয়ান:

মুসলিম অধ্যাসিত মুর্শিদাবাদ জেলার প্রায় প্রতিটি সরকারী হাসপাতালে তীব্রতর রক্ত সংকট চলছে । মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের উদ্দ্যোগে কয়েকদিন আগে প্রায় প্রতিটি ব্লকে রক্তদান শিবির করলেও প্রখর গরম ও ধর্মপ্রান মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাসে রোজ পালনের কারনে  ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের ঘাটতি চাহিদা পুরণ করা সম্ভব হয়নি ,বিপদে পড়েছেন জেলার রুগিরা ।"জীবে প্রেম করে যে জন সে জন সেবীছে ঈশ্বর " এই চরম সত্য বানিতে অনুপ্রানিত হয়ে মানব সেবার জন্য সমশেরগঞ্জ ব্লক ভিআরপি ও স্থানীয় যুবকরা মিলে মিশন ন্যায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন তৈরি করে একের পর এক মুমূর্ষ রুগিকে রক্ত দান করে নজির সৃষ্টি করে চলেছেন । সমশেরগঞ্জ ব্লকের ঝারখান্ড রাজ্য লাগয়া ফুলন্দর গ্রামের বাসিন্দা গর্ভবতি রুনা খাতুন (২৯) প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে জঙ্গীপুর মহুকুমা হাসপাতলে ভর্তি হলে চিকিৎসক রক্তের ঘাটতি কথা তার স্বামী নজরুল মোমিনকে বলেন ও যথা সম্ভব তাড়াতাড়ি "বি" পজেটিব রক্ত ব্যাবস্থা করতে বলেন ।
রুনাখাতুনের স্বামী নজরুল মোমিন নিজের আত্মীয় স্বজন সহ বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্কে হন্নহয়ে ঘুরেও রক্তের ব্যাবস্থা করতে না পারায় বেশ খানিকটা ভেঙে পরেন ,সময় বাড়ার সাথে এদিকে রুগির অবস্থার অবনতি হচ্ছে,সে সময় হঠাৎ এক আত্মীয়র কাছে থেকে জানতে পারেন মিশন ন্যায় নামক একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার কথা যারা রক্তে দিয়ে মূমূর্ষ রুগির সেবা করেন ।নজরুল সাহেব ফোনে সংস্থার পর্যবেক্ষক সরিফ নওয়াজের সাথে যোগাযোগ করলে  তিনি তার সদস্য সমশেরগঞ্জ ব্লকের গ্রামীণ সম্পদকর্মী সুজিত কুমার দাস (৩০) কে রাত এগারোটা নাগাদ ফোন করে রোগির অসুবিধার কথা জানালে কোন রকম অনিহা না করে রক্ত দেওয়ার জন্য ইচ্ছা প্রকাস করে গভীর রাত্রে জঙ্গীপুর ছুটে গিয়ে রুনা খাতুন কে এক ইউনিট রক্ত দিয়ে সাহায্য করে একপ্রকার সম্প্রীতির নজির গরলেন সুজিত দাস । এ প্রসঙ্গে ভিআরপি সুজিত বলেন মানব ধর্মই হলো বড় ধর্ম ,আমার পরিচয় আমি ভারতীয় এবং জাতিতে বাঙালি ,সুতরাং বাঙালি হয়ে  আমার কর্তব্য আর এক বাঙালিকে সাহায্য করা,এটা করতে পেরে আমি আনন্দিত ।রক্ত পেয়ে খুশি রোগির স্বামী নজরুল মোমিন বলেন সুজিত ভাই এর  এই সাহায্যর কথা কখনও ভূলবোনা আল্লাহ যেন সুজিত ভায়ের মঙ্গল করেন ।