লম্বা দুই মাস স্কুল ছুটি,মালদায় শ্রমিকের কাজে পড়ুয়ারা
মোহঃ নাজিম আক্তার
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১১:১৬ পিএম, ২৬ মে ২০১৯ রোববার
হরিশ্চন্দ্রপুর
ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার অতিরিক্ত গরমের কারণে প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়গুলির দুই মাস ছুটি ঘোষণা করেছে ।স্কুল খুলবে আগামি 31 শে জুন ।দুই মাস লম্বা ছুটি দেওয়ার কারণে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলনে নেমেছে ।শিক্ষকরা জানান, এখনও অনেক স্কুল লোকসভা নির্বাচনের কারণে প্রথম ইউনিট পরিক্ষা নিতে পারেনি ।পরিক্ষার সিলেবাস শেষ হয়নি ।মিড ডে মিলের চাল বস্তা বস্তা মজুত আছে ।দুই মাসে চালগুলিতে পোকা লেগে নষ্ট হয়ে যেতে পারে ।অনেক পড়ুয়ার আর্থিক অবস্থা দুর্বলতার কারণে প্রাইভেট টিউশন পড়তে পারে না।স্কুলে লম্বা ছুটি ও বাড়িতে অভাব-অনটনের কারণে বেরিয়ে পরছে আয়ের পথে দুই পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তারা শুধু শুনেছে স্কুল দুই মাস ছুটি হয়েছে কবে খুলবে জানে না।তাই তারা পরিবারের অভাব মোচনের জন্য বেছে নিয়েছে শিশু শ্রম ।চলছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাতুড়ি দিয়ে ইট ভাঙার কাজ
তারা জানান পারিবারিক অভাবের তাড়নায় এই কাঠফাটা রোদে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সামান্য চুক্তি ভিত্তিক মজুরির কাজ করা।ট্রাক্টরের এক টলি টুকরো ইট ভাঙতে দেয় হাজার টাকা ।সম্পূর্ণ ইটের টুকরোগুলি ভাঙতে সময় লেগে যায় প্রায় এক সপ্তাহ ।
।মহেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র নীল ফরিদ জানান নয় বছর আগে তার বাবা গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান ।তিন ভাই,এক বন ও মাকে নিয়ে চলে অভাবের সংসার।বড়ো ভাই বিয়ে করে সংসার থেকে আলাদা হয়ে গেছে ।কোনো দিন পেট ভর্তি খাবার জুটছে তো কোনো দিন না খেয়েই দিন কাটিয়ে দেন।স্কুলে এক বেলা মিড ডে মিলের খাওয়ার জুটত। স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে তাও জোটে না ।তাই সে রুজিরুটি জোগাড়ের জন্য আয়ের পথে নেমেছে ।
ওপর এক বনসরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র হাসেন জানান পরিবারের অভাবের কথা ভেবে উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগেই পড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।এখন যদি সরকার তাকে পড়াশোনার সুযোগ করে দেয় তাহলে স্কুল জীবনে আবার ফিরে দিতে চায় ।