সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গৌড়বঙ্গের তিন জেলা তৃণমূল সভাপতিকে সরিয়ে নতুন সভাপতি

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৬:৪৬ এএম, ২৬ মে ২০১৯ রোববার

মালদা

আসন্ন লোকসভা ২০১৯ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক ভরাডুবির জেরে রীতিমতো ক্ষুব্দ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গৌড়বঙ্গের তিন জেলার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ৩ সভাপতিকে। নতুন সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পরাজিত প্রার্থীদেরকে। মালদায় মোয়াজ্জেম হোসেনকে সরিয়ে নতুন সভাপতি করা হয়েছে মৌসম নুরকে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিপ্লব মিত্রকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অর্পিতা ঘোষকে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় অমল আচার্য্য কে সরিয়ে নতুন সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কানাইয়ালাল আগরওয়ালাকে।গেরুয়া ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে রাজ্যের ঘাসফুলের উর্বর জমি। এই রাজ্যে ১৮টি আসনে পদ্ম ফোটাতে সক্ষম হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিই বিজেপির দখলে গিয়েছে। বিজেপি প্রার্থীদের কাছে হারতে হয়েছে তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থীকে। লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন মৌসম নুর। গত লোকসভায় তিনি কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন। এবারে তৃণমূলের প্রতীকে তিনি প্রার্থী হওয়াই জয়ের বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত ছিল তৃণমূল শিবির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজেপি প্রার্থী খগেন মূর্মুর কাছে প্রায় ৮৪ হাজারের বেশি ভোটে তাঁকে হারতে হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে গতবার তৃণমূলের প্রতীকে জিতেছিলেন নাট্যকার অর্পিতা ঘোষ। এবারে তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে প্রথম থেকেই দলের একাংশের মধ্যে বিরোধ ছিল। কিন্তু সমস্ত বিরোধ উপেক্ষা করে অর্পিতাকে প্রার্থী করা হয়। তাঁকে জেতাতে রাজ্য মন্ত্রীসভার একাধিক সদস্য বালুরঘাটে পালা করে ময়দানে নামেন। অর্পিতার সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও সভা করেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের কাছে পরাজিত হতে হয়েছে অর্পিতাকে। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ আসনেও বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরির কাছে হারতে হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালাকে। দলীয় প্রার্থীদের পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতে শনিবার কালীঘাটে সমস্ত জেলার নেতা এবং প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষেই জানান দলীয় স্তরে রদবদলের কথা। মালদা জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে সরানো হয় মোয়াজ্জেম হোসেনকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় পরাজিত প্রার্থী মৌসম নুরকে। মোয়াজ্জেম হোসেনকে দেওয়া হয়েছে চেয়ারম্যানের পদ। এছাড়াও জেলার কার্যকরী সভাপতি হিসাবে বর্ষীয়ান নেতা সমর মুখারজিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।