চাঁচলে সঙ্কটজনক মুহূর্তে ফোন করলেই পাওয়া যাচ্ছে রক্ত
উজির আলি
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১০:১৭ পিএম, ১৪ মে ২০১৯ মঙ্গলবার
চাঁচল
রক্তদানে উৎসাহ বাড়ছে ছাত্র সংগঠনের। রক্তদানের সঙ্গে যুক্ত একটি সেচ্ছাসেবী সাম্প্রতিক দল গড়ে উঠেছে চাঁচলের বুকে। যোগাযোগ করলেই সঙ্কটজনক মুহুর্তে পাওয়া যাচ্ছে রক্ত। মালদহের চাঁচল কলেজ তৃনমুল ছাত্রপরিষদ ছাত্র সংগঠনের মধ্যে এই সামাজিক কর্মসূচীতে রক্তদান অংশগ্রহনে উৎসাহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। চাঁচল হাসপাতালের এক নিরাপত্তারক্ষী জানান, খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কেন্দুয়া গ্রামের এক মহিলা রোগী(35) গত তিনদিন ধরে থ্যালেসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে গরমকালে রক্তের জোগান কম থাকায় কর্তব্যরত ডাক্তার বাবু রোগীর সামী উত্তম দাসকে তার স্ত্রীর জন্যে AB+ রক্তের জোগান করতে বলেন।
বিপাকে পরেন উত্তম দাস। রক্তের সন্ধানের জন্য হাসপাতাল চত্বর থেকে বাইরে বের হয়। নিরাপত্তা রক্ষী বলেন, উত্তম দাস আমাকে রক্তের কথা জিজ্ঞেস করাতেই, তক্ষনাৎ চাঁচল কলেজের এক তৃনমুল ছাত্রনেতার চলভাষ দিই। তারই ফলস্বরূপ ছাত্র এককের মাধ্যমে মঙ্গলবার সকালে ছাত্র এককের এক সদস্য সৌরভ দাস হাসপাতালের শয্যায় খুশি হয়ে এক ব্যাগ AB+ রক্তদান করেন রোগীকে। সৌরভ দাসকে খুশিতে আপ্লুত হয়ে আশির্বাদ করেন রোগীর পরিবার।
চাঁচল কলেজের তৃনমুল ছাত্রনেতা বাবু সরকার, রিন্টু ও অঙ্কুর পোদ্দার বলেন, আমরা আজকে শুধু নয়! 2019 বর্ষে আনুমানিক 150 জনেরও অধিক রোগীকে রক্ত জোগান দিয়েছি। সঙ্কটজনক মুহুর্তে কোনো রোগীর পরিজন ফোন করলেই আমরা পৌছে গেছি। ছাত্রনেতারা আরোও জানান, রক্তদান যাতে দানই থাকে, উপহারের লোভে কার্যত রক্তদান আমরা করিনা। শুধু শিবিরের আয়োজন নয়! সঙ্কটজনক মুহুর্তে নিকটবর্তী সাস্থ্যকেন্দ্র গুলিতে দিবারাত্র রক্তদানের সাহায্যের হাত বাড়াতে বার্তা দেন। তবে ছাত্র সংগঠন ছাড়া অন্য কোনো সংস্থা এগিয়ে না এলে দুঃস্থ পরিবারের রোগীদের ভোগান্তি আরও বাড়বে।