ঐতিহাসিক বহু পুরনো প্রাচীন জহুরা চন্ডির আরাধনা
হক নাসরিন বানু
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১০:৫৯ পিএম, ১১ মে ২০১৯ শনিবার
মালদা
ঐতিহাসিক বহু পুরনো প্রাচীন শুরু হয়েছে জহুরা চন্ডির আরাধনা। বহুযুগ ধরে হয়ে আসছে জহুরা চন্ডীর আরধনা। সারা বছরই মায়ের পুজো অনুষ্ঠিত হলেও মূলত বৈশাখ মাস জুড়ে মায়ের বার্ষিক আরাধনা অনুষ্ঠিত হয়। বৈশাখ মাসে সপ্তাহের প্রত্যেক মঙ্গলবার ও শনিবার আরাধনা হয়। ভীড় হয় উপচে পড়ার মতো। দেবীর আরাধনা ঘিরে মঙ্গল ও শনিবার করে মেলাও বসে।
উল্লেখ্য, মালদা ইংরেজ বাজার ব্লকের গোপাল পুর এলাকায় অবস্থিত এই মন্দির। জহুরা মন্দির বলা হলেও আসলে এটি চন্ডী মন্দির। বলা হয়, সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন এই অঞ্চলের চন্ডী মন্দির স্থাপন করেছিলেন - এটি তার অন্যতম। তবে, মন্দিরের গায়ে পাথরের ফলক আছে, তাতে দেখা যায় যে প্রায় তিনশো বছর আগে সাধক ছল্প তেওয়ারী এখানে গড়ের ওপর জহুরা চন্ডী মাতার বেদী প্রতিষ্ঠা করে পূজা শুরু করেন। তার প্রায় একশো বছর পরে ১২১৩ সালে আর এক সাধক হীরারাম তেওয়ারী এখানে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে দৈব দর্শন করেন, এবং সেই দৈব দর্শন অনুযায়ীই মায়ের মূর্তির রূপরেখা তৈরি করেন এক বৈশাখ মাসে। ঘন লাল রঙে রাঙানো এক বিশাল ঢিবি আর তার ওপরে মায়ের মুখের কল্পনায় এক মুখোশ - এই হচ্ছে এখানকার দেবী মূর্তি। মূল মুর্তির দুপাশে এমন আরো কিছু মুখোশ দেখা যায়, সেই সঙ্গে গর্ভগৃহে আছে শিব এবং গণেশের মূর্তিও। ওই তেওয়ারী সাধকদের পরবর্তী প্রজন্মই এখানে বংশানুক্রমে পুজো করে আসছেন এখনো । এখানকার বৈশিষ্ট্য হলো, রাত্তিরে কোনো পূজা হয় না, যা পূজা হয় সব দিনের বেলায় এবং শুধু শনি ও মঙ্গলবার। ওই দুদিন বেশ ভীড় হয়, পুজোর জন্যে বড় লাইন পড়ে। পুজো দিতে আসেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ । এখন মায়ের প্রতিষ্ঠা বৈশাখ মাস। তা উপলক্ষে বড় মেলা বসেছে।
আজ শনিবার ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে লাইনে দাঁড়িয়ে পূজো দেন ভক্তরা।