হরিশ্চন্দ্রপুর দেশি ব্রাউন সুগারের রমরমা
মোহঃ নাজিম আক্তার
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০১:৩৯ পিএম, ৮ মে ২০১৯ বুধবার
হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়েই এখন চলছে দেশি ব্রাউন সুগারের রমরমা কারবার । মাদকাসক্ত তরুণ-কিশোরদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে ।এলাকায় বাড়ছে চুরি-ছিনতায়ের মতো কারবার ।পথচারীরা রাত দশটার পর সাইকেল, বাইক নিয়ে ছিনতাই হয়ে যাওয়ার ভয়ে চলাচল করতে পারছে না ।মোবাইলে কাউকে কথা বলতে দেখলে চলন্ত বাইক থেকেই হামলে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে ।এখন হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা ভয়ে সন্ত্রস্ত ।একমাত্র ব্রাউন সুগার নেশা করার জন্যই ঘটেচলেছে এই ধরনের ঘটনা ।
যদিও এই দেশি ব্রাউন সুগারের উৎসের খোঁজে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এক পুলিশ কর্তা ।পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় পোস্ত চাষ এই এলাকায় নাই বললেই চলে ।তবু কেন "দেশি"ব্রাউন সুগারের রমরমা হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়ে ? এমন প্রশ্নই এবার উদ্বেগ বাড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর কর্তাদের।হরিশ্চন্দ্রপুর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ব্রাউন সুগারের রমরমা কারবার চলছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে ।
এই মাদকের সুখটানে বুঁদ হচ্ছে স্কুল কলেজের পড়ুয়া থেকে এক শ্রেণীর উঠতি কিশোর- যুবকরা ।মানসিক রোগী হয়ে পড়ছে ।যা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবক মহল থেকে প্রশাসনও।
হরিশ্চন্দ্রপুরে বাংরুয়া, ভবানীপুর, বনসরিয়া, লাড়িয়াল, সালাল পুর, বাগমারা, আলিনগর, গাঙগনদীয়া, ইসলাম, রামপুর , তুলসীহাটা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্রাউন সুগারের হোলসেল বিক্রেতা রয়েছে বলে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। যদিও এযাবৎ কেউ ধরা পড়েনি ।
তবে নেশাসক্ত কিশোরদের ধরে আটকে রাখা যাচ্ছে না ।হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশকর্তারা
বলেন 'হাজতে পুরে দিলে নেশাগ্রস্তরা আত্মহত্যা করে ফেলতে পারে ।নখ দিয়ে নিজের শরীর ছিড়ে ফেলছে ।ফলে পুলিশ সেই ঝুঁকি নিচ্ছে না ।'মাদক বিক্রেতাদের খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে ।
প্রশ্ন উঠেছে এই এলাকায় পোস্ত চাষ হচ্ছে না , তা সত্ত্বেও কিভাবে খোলা বাজারে মিলছে ব্রাউন সুগার।
এলাকা সূত্রে খবর, মাত্র এক গ্রাম ব্রাউন সুগারের দাম নাকি 1600 টাকা । একটা কাগজের পুড়িয়ার দাম 100 টাকা ।প্রত্যহ অন্তত 800 টাকার অর্ধেক গ্রাম এই মাদক সেবন করছে উঠতি কিশোররা।