শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সরকারের শেষ একনেকে থাকছে রেকর্ড প্রকল্প, ১৫০তম সভা রোববার

কালাম আজাদ

দৈনিক জাগরণ

প্রকাশিত : ০৭:১১ পিএম, ২ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

সরকারের শেষ একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) থাকছে রেকর্ড সংখ্যক প্রকল্প। আগামী রোববার ওই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি বর্তমান সরকারের ১৫০তম এবং চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১৩তম সভা। এর আগে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সভায় ২৫টি প্রকল্প পাস হয়। স্মরণকালে এত বেশি প্রকল্প কোনো একনেকে পাস হয়নি।

প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাগরণকে বলেন, এতদিন ধরে অনেক প্রকল্পের চাপ ছিল। নানামুখী উন্নয়নের জন্যই এখন একনেকে বেশি প্রকল্প আসছে।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এলে সম্প্রতি পাস হওয়া প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় থাকছে না। কারণ প্রায় সবগুলো প্রকল্পই কয়েক বছর মেয়াদি।

সচিবালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় ৩০টির বেশি প্রকল্প উত্থাপন করা হতে পারে। ওইদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে একনেক সভা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সরকারের ১৪৮তম সভায় ২১টি প্রকল্প পাস হয়। প্রকল্পগুলোর সর্বমোট প্রাক্কলন ব্যয় ১৯ হাজার ৭৭৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের কোষাগার থেকে আসবে ১৭ হাজার ৩১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা; প্রকল্প সাহায্য ধরা হয়েছে ২ হাজার ২২৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন হিসেবে থাকছে ২৩৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ওইদিন পাস হওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় ধরা হয় ৩৫টি ড্রেজার ও সহায়ক জলযানসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পে। যার ব্যয় ধরা হয় ৪ হাজার ৪৮৯ কোটি ৩ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুন নাগাদ বাস্তবায়নের সময় প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। 

গত ৩০ অক্টোবর একনেকে ২৫টি প্রকল্পের জন্য সর্বমোট ব্যয় ধরা হয় ৩২ হাজার ৫০৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। যার মধ্যে সরকারের কোষাগার, প্রকল্প সাহায্য ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে অর্থায়নের পরিমাণ ধরা হয়েছে যথাক্রমে ২৭ হাজার ১২৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, ৫ হাজার ৭২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ও ৩০৬ কোটি ৪ লাখ টাকা। সেদিন পাস হওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে ছিল- নবগঠিত ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় সদর দপ্তর ও নতুন বিভাগীয় শহর স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন (৭ হাজার ৭৬৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা); বগুড়া হতে শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন, সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত নতুন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ (৫ হাজার ৫৭৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা); ২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন (৩ হাজার ৬৯১ কোটি ৩০ লাখ টাকা) এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এক থেকে পাঁচ নম্বর জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাথ নির্মাণ (১ হাজার ৫১০ কোটি টাকা)।