সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খাশোগিকে ‘ভয়ঙ্কর ইসলামিস্ট’ আখ্যা সৌদি যুবরাজের

জাগরন, আন্তর্জাতিক

দৈনিক জাগরণ

প্রকাশিত : ০৬:১৯ পিএম, ২ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (ছবি সংগৃহীত)

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (ছবি সংগৃহীত)

খুন হওয়া সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ‘ভয়ঙ্কর ইসলামিস্ট’ উল্লেখ করে তাকে মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য বলেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।  খাশোগি নিহত হওয়ার পরেই হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক টেলিফোনে বার্তায় এ কথা জানান তিনি।


যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, নিখোঁজ খাশোগির হত্যাকাণ্ড স্বীকার করার আগে হোয়াইট হাউজকে এই ফোন করেছিলেন যুবরাজ।  তবে এই রিপোর্টের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সৌদি আরব।


২ অক্টোবর ইস্তানবুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশের কিছু সময় পরেই নিখোঁজ হন সৌদি অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাশোগি।  পরবর্তীতে ১৯ অক্টোবর মধ্যরাতে প্রথমবারের মতো সাংবাদিক খাশোগি নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।  সৌদি কর্মকর্তারা খাশোগিকে দেশে ফিরিয়ে আনার কথাবললেও তাকে হত্যার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।বলে জানায়।  অন্যদিকে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নাকচ করে দেয় দেশটি।  তবে সৌদি আরবের এমন দাবি নাকচ করে দিয়ে মূল ঘটনা অনুসন্ধানে তদন্ত অব্যাহত রেখেছেন ইস্তানবুলের চিফ প্রসিকিউটর। 

হত্যাকান্ডের পুর্বে ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার ও জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জন বোল্টনকে দেওয়া ফোনে সৌদি যুবরাজ বলেন, খাশোগি উগ্র ইসলামিস্ট সন্ত্রাসী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য ছিল।
যুবরাজ সে সময় মার্কিন-সৌদি বন্ধুত্ব রক্ষার জন্য হোয়াইট হাউসকে আহ্বান জানায়।

এদিকে খাশোগির মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তার পরিবার।  তারা জানায়, খাশোগি নিজেও এই বিষয়টি বারবার স্পষ্ট করার চেষ্টা করে ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসিত জামাল খাশোগি সৌদি সরকারের কঠোর সমালোচক ছিলেন।  সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংস্কার পরিকল্পনার বিরোধী

হত্যাকাণ্ডের পর জনসমক্ষে কোনও বক্তৃতা দেননি যুবরাজ।  বুধবার (০২ নভেম্বর) এক সম্মেলনে প্রথম এ বিষয়ে কথা বললেন তিনি।  খাশোগির হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত ঘৃণ্য অপরাধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপরাধীর সাজা হবেই।  তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। সৌদি আরব ও তুরস্ক একযোগে কাজ করবে।’